ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪ এবং ই পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ 2022 | দালাল ছাড়া ই পাসপোর্ট করার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা

ই-পাসপোর্ট কি?

সহজ ভাষায় ইপাসপোর্ট আর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য অনেকটা এটিএম কার্ড ও চেক বই এর মত। চেক ব্যাবহার করে যেমন গ্রাহক নিজে একা একা টাকা তুলতে পারে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সীল, সাক্ষর ইত্যাদি লাগে। কিন্তু এ টি এম কার্ড ব্যাবহার করে গ্রাহক এসব ঝামেলা ছাড়াই নিজের টাকা তুলতে পারেন। ই পাসপোর্টের সার্ভিস অনেকটা এটিএম কার্ডের মত। ই পাসপোর্ট হল একটি পাসপোর্ট যাতে ইলেক্ট্রনিক মাইক্রো প্রোসেসর চিপ লাগানো থাকবে। আপাতত দৃষ্টিতে পাসপোর্ট বইটি দেখে কোন কিছু বুঝা যাবে না।

দেখতেও অনেকটা MRP পাসপোর্টের মতই। কিন্তু ভিতরে সংযুক্ত চিপটি এম আর পি (মেশিন রিডেবোল পাসপোর্ট) আর ই পাসপোর্টের মধ্যেকার প্রধান পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। এই চিপের মধ্যে আছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর যাবতীয় তথ্য বহন করে। এতে মাইক্রো প্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা সহ স্মার্ট কার্ডের প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ই পাসপোর্টে যে সব বায়মেট্রিক সংরক্ষণে থাকবে তা হল পাসপোর্ট ধারীর ছবি, ১০ আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং চোখের আইরিশ।

ই বর্ডার বা ইলেক্ট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক যাচাই করা হয়ে থাকে। পাব্লিক কিই ইনফ্রাস্ট্রাকচার (PKI) এর মাধ্যমে চিপে সংরক্ষিত ডাটা যাচাই করা হয়ে থাকে। এতে থাকবে পাসপোর্টধারীর ৩ ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা কি?

ই-পাসপোর্টের সবচাইতে বড় সুবিধা হল ই পাসপোর্ট ধারীরা বিশেষ ই – গেট ব্যাবহার করে খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন। এজন্য তাদেরকে ভিসা চেকিং এর লাইনের দাড়াতে হবে না। এতে করে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শেষ হবে। উল্লেখ্য যে এই ই – গেট শুধুমাত্র ই পাসপোর্টধারীরাই ব্যাবহার করতে পারবেন ই গেটের কাছে দাড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রাখলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ছবি তুলে নেয়া হবে। এর পর আঙ্গুলের ছাপ পরিক্ষা করে নেয়া হবে সহজেই। কোন সমস্যা না থাকলে খুব দ্রুত শেষ হবে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া।

আর কোন ঝামেলা থাকলে লাল বাতি জলে উঠবে এবং পাসপোর্টধারীকে সমস্যা সমাধান না হউয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন পার হতে দেয়া হবে না। এই সিস্টেমের পরিচালিত হবে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও) দ্বারা। একারণে সেন্ট্রাল ডাটাবেজ থেকে দেশের পুলিশ প্রশাসন, ইন্টারপোল ও বিভিন্ন বিমান বন্দর ও স্থলবন্দর অথোরিটি সহজেই এই সব তথ্য যাচাই করতে পারবে।

এই পদ্ধতিতে ৩৮ লেয়ার বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যাবস্থা থাকায় কোন জাল বা সমস্যা যুক্ত পাসপোর্টধারী এই নিরাপত্তা ব্যুহ অতিক্রম করতে পারবে না। এতে করে সন্ত্রাসবাদ সহ অন্যান্য অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যাবে এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

✓পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া
✓প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ
✓পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ
✓পাসপোর্ট ফরম এবং সংযুক্তি সত্যায়িত করা
✓আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া
✓পুলিশ ভেরিফিকেশন
✓পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা
✓পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

পাসপোর্ট ফি আপনি অনলাইন ও অফলাইন দুইভাবেই দিতে পারেন। নিচে আমি দুইটা দিকই বলছি। অফলাইনে পাসপোর্ট ফি জমা দান অফলাইনের জন্য আপনাকে পাসপোর্ট অফিস কতৃক নির্ধারিত একটি ব্যাংকে চলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনি যদি সাধারণ পাসপোর্ট করেন। তাহলে ৩,৪৫০ টাকা এবং জরুরী হলে ৬,৯০০ টাকা জমা দিতে হবে।

হাতে সময় থাকলে আমি বলবো জরুরী না করাই ভালো, কারণ জরুরী পাসপোর্ট ৭ কর্ম দিবসে দেয়ার কথা থাকলেও ইদানিং তা দিতে ১০ দিনের মত লাগে। যাই হোক, যে ব্যাংক গুলোতে আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন সেগুলোর নাম নিচে দেয়া হলোঃ- 
★ সোনালি ব্যাংক। 
★ ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। 
★ ওয়ান ব্যাংক ব্যাংক।
★ এশিয়া প্রিমিয়ার ব্যাংক।
★ ঢাকা ব্যাংক। 

উপরোক্ত ব্যাংক গুলোর যে কোন শাখায় আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন, শুধু মাত্র সোনালি ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখা ছাড়া। ব্যাংকে গিয়ে বললেই হবে যে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য টাকা জমা দিবেন, তারা আপনাকে একটি স্লিপ দিবে যেটা পূরণ করে টাকা সহ জমা দিতে হবে। আর এই স্লিপে আপনার নাম ঠিক সেভাবে লিখবেন যেভাবে পাসপোর্টে নাম হবে, একটু ভিন্ন হলেও পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।

সাথে করে অবশ্যই আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড, বা বার্থ সার্টিফিকেটের ফটোকপি নিয়ে যাবেন। টাকা জমা হয়ে গেলে তারা আপনাকে একটি রশিদ দিবে। রশিদটির দুইটি পার্ট থাকবে, একটা কাস্টমার কপি আরেকটা পাসপোর্ট অফিসের কপি। কাস্টমার কপি আপনার কাছে রাখবেন আর পাসপোর্ট অফিসের কপি পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম জমা দেয়ার সময় ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।

আপনার টাকা জমা দেয়ার ৬ মাসের মধ্য আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। ৬ মাস পরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, সেক্ষত্রে আপনাকে আবার নতুন করে টাকা জমা দিতে হতে পারে।

ই পাসপোর্ট এর মেয়াদ, বিতরনের সময় এবং ফি সমূহ

৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছরের জন্য সাধারণ ফি (১৫ দিন) সাড়ে তিন হাজার টাকা। জরুরি ফি (৭ দিন) সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। অতি জরুরি ফি (২ দিন) সাড়ে সাত হাজার টাকা।

৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি (৭ দিন) সাত হাজার টাকা অতি জরুরি ফি (২ দিন) নয় হাজার টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ৫ বছরের সাধারণ ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাড়ে সাত হাজার টাকা অতি জরুরি ফি (২ দিন) সাড়ে ১০ হাজার টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছরের জন্য সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা জরুরি ফি (৭ দিন) নয় হাজার টাকা অতি জরুরি ফি (২দিন) ১২ হাজার টাকা।

এই ফি এর সাথে যথারিতি ১৫% ভ্যাট যুক্ত হবে।

ই পাসপোর্টের ফরম পূরণের নিয়ম 

১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে অথবা PDF ফরমেটে ডাউনলোড করেও এ ফরমটি পূরণ করা যাবে।

২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।

৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।

৪। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।

৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

৬। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-

(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ গ্রহণযোগ্য হবে।

৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।

৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।

৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।

১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের ‍উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।

১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।

১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।

১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।

১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।

১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।

১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।

২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।

২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।

২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।

২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে। নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি, জিডি কপিসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।

তথ্য সূত্রঃ
বহিরাগমন শাখা ১ ,সুরক্ষা সেবা বিভাগ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
স্মারক নং ৫৮.০০.০০০০.০৪০.০১.০০৩.১৬-১২৩৪

ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন

আবেদন পত্র জমা দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আপনাকে পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের জন্য ডাকা হবে। পুলিশ আপনার বাড়িতে আসতে পারে অথবা আপনাকে তাদের অফিসেও যেতে বলতে পারে। আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট রেডি রাখতে বলবে যেমন, জায়গার কাগজ, ইউটিলিটি বিলের কপি ইত্যাদি। 

ব্যাক্তিভেদে একেক জনের কাছে একেকটা চায়। আপনার পাসপোর্ট আবেদন ফর্মে যদি স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তাহলে দুই যায়গাতেই ভেরিফিকেশন হবে। আর একই ঠিকানা হলে এক জায়গাতেই হবে।

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম | ই পাসপোর্ট অনলাইন চেক | পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম | ই পাসপোর্ট চেক | ই পাসপোর্ট চেকিং

আর অনলাইনে মাঝে মাঝে ঢুকে আপনার পাসপোর্ট এখন কোন অবস্থায় আছে দেখুন। এই লিঙ্কে গিয়ে- http://www.passport.gov.bd/OnlineStatus.aspx আপনার এনরোলমেন্ট আইডি(পাসপোর্ট এর ছবি তোলার পরে আপনাকে যে রশীদ দেবে সেখানে লেখা থাকবে ) এবং জন্ম তারিখ দিন। তাহলেই আপনার পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। এছাড়া এসএমএস করেও স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।

ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় ২০২২

সব কিছু ঠিক ঠাক মত হয়ে গেলে আপনি ৪০-৫০ দিনের মাথায় মোবাইলে একটি SMS পাবেন যে আপনার পাসপোর্ট রেডী। ব্যাস পাসপোর্ট অফিসে চলে যান এবং ছবি তোলার সময় যে রশীদটি দেয়া হয়েছিলো সেটা জমা দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসুন।

অনলাইনে আবেদনে কি ই-মেইল অ্যাড্রেস পরিবর্তন করা যায় কি ?

না । অনলাইন ই-পাসপোর্ট আবেদনে ব্যবহৃত ই-মেইল পরিবর্তন করা যায় না। তবে নতুন ই-মেইল ব্যবহার করে নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদন করা যায়।

অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করা যাবে কি ?

হ্যাঁ, এটা সম্ভব। ই-পাসপোর্ট অনলাইন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করুন এবং ‘অ্যাকাউন্ট ডাটা’ সিলেক্ট করুন।

নিচের বিষয়গুলি অনুসরন করুনঃ

⦁ এসএমএস নোটিফিকেশন অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাকক্টিভ করুন।

⦁ নতুন মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করান, যেখানে আপনি অনলাইন আবেদনের সকল নোটিফিকেশন স্বংক্রিয়ভাবে পাবেন।

দ্রষ্টব্যঃ একটি মোবাইল নাম্বার শুধু একটি আবেদনই ব্যবহার করা যাবে।

আমার অনলাইন আবেদনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। এখন কি করা উচিত?

পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারে নিম্নবর্ণিত পন্থা অবলম্বন করুনঃ 

⦁ অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করুন।

⦁ “Forgot password” link এ ক্লিক করুন।

⦁ ই-মেইল অ্যাড্রেসে প্রবেশ করুন।

⦁ ই-মেইল চেক করুন। নতুন পাসওয়ার্ড প্রেরণ করা হয়েছে।

আমি আমার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছি এবং আমার এনআইডি বা বিআরসি নম্বর দিয়ে একটি নতুন আবেদন জমা দিতে চাই, কিন্তু এটি কাজ করে না। আমি কি করতে পারি?

কোনও ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনি অনলাইন পোর্টালে অ্যাপ্লিকেশন ডেটা আর পরিবর্তন করতে পারবেন না। এমনকি যদি আপনি অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলেন এবং একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেন।

আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরে আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন তথ্য, অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচি বা অন্যান্য তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন না।

আপনার যদি ইতিমধ্যে একটি নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচি নেওয়া থাকে তবে আপনাকে কী করতে হবে?

অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময়টিতে দয়া করে আপনার পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুণ। পাসপোর্টের জন্য তালিকাভুক্তির সময় আপনার আবেদনের ডেটাতে ভুলগুলি সংশোধন করা যেতে পারে। সঠিক তথ্য টি এনআইডি / বিআরসি বা পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে) অথবা অন্যান্য সরকারি নথি দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে।

আপনাকে কমপক্ষে আপনার অনলাইন নিবন্ধকরণ আইডি (ওআইডি) সরবরাহ করতে হবে যা আপনাকে ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। এই নম্বরটি দিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটির পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।

আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত সময়সূচি নেওয়া না থেকে থাকলে আপনার কী করা দরকার?

কোনও অ্যাপ্লিকেশন মোছার পরে আপনি আর এই আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন না। বর্তমানে আরপিও গুলো কেবলমাত্র অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রক্রিয়া করে থাকে।

আপনি কি করতে পারেনঃ

(ক) আপনি যদি এখনও ফি প্রদান না করে থাকেনঃ নিবন্ধকরণ জমা দেওয়ার পরে আপনার আবেদনটির মেয়াদ ২০০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়ে যাবে। এর পরে আপনি আপনার এনআইডি বা বিআরসি দিয়ে একটি নতুন রেজিস্ট্রেশন জমা দিতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেশন ই-মেইল পাইনি। আমার কি করা উচিত?

অনেক কারণে এমন হতে পারে। নিচের বিষয়গুলো লক্ষ করুন। 

স্প্যাম (spam) ফোল্ডার (folder): মাঝে মাঝে ই-মেইল স্প্যাম ফোল্ডারে চলে যায়। সুতরাং এখানে খুঁজুন। অনেক সময় ই-মেইল অ্যাড্রেসের বানান ভুলের কারণেও এমন হতে পারে। 

অতএব অনলাইন অ্যাকাউন্টে ঢুকে সঠিক বানান যাচাই করুন।

আমি আমার পাসপোর্ট অফিসে, নিকটবর্তী কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়সূচী পাইনা, আমি কী করতে পারি?

এই মুহূর্তে ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন গুলি কেবলমাত্র একটি নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েই করা যেতে পারে। তবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গুলি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করছে।

আপনার পাসপোর্ট অফিসে নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা যেতে পারে কিনা তা জানতে দয়া করে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচীটি ঘন ঘন দেখুন।

অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল বা সময় পরিবর্তন করা যাবে কি?

হ্যাঁ। এটা সম্ভব।

সাক্ষাতের সময় বাতিল বা পুণর্নিধারনের জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করুন। এখন নির্ধারিত সাক্ষাতগুলো দেখতে পাবেন। তখন আপনার সাক্ষাতের সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন।

দ্রষ্টব্যঃ ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে একটি আবেদনের সাক্ষাত বাতিল করলে উক্ত অ্যাকাউন্টের সকল অ্যাপয়ন্টমেন্ট বাতিল হবে। 

পিডিএফ আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সম্ভব কি না?

না। এটি কেবল অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 

করোনার শাটডাউনের কারণে আমি আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করেছি, আমার কী করা দরকার?

শাটডাউন চলাকালীন সময়ে যদি তালিকাভুক্তির জন্য নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় পরে থাকে তাহলে নতুন ভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেনঃ

১. দয়া করে আপনার ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টাল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।

২. আপনি আপনার অনলাইন নিবন্ধনটি দেখুন।

৩. নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণের জন্য “Re-schedule/Cancel”  বোতামটি ক্লিক করুন।

বি.দ্রঃ আমাদের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গুলো ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে খোলার চেষ্টা চলছে। আপাতত অফিস গুলোতে এখনও কোভিড -১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবেদনে সীমাবদ্ধতা থাকবে।

পাসপোর্ট অফিসে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট কিভাবে পেতে পারি?

আবেদনকারীগণ এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।অনলাইনে আবেদনের শেষ পর্যায়ে অ্যাপয়েনমেন্ট অপশন আসবে। অ্যাপয়েনমেন্ট স্লট ও অ্যাপয়েনমেন্টে নির্ধারিত সময়ানুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে। আপনি যদি নিয়োগপত্রের জন্য দেরী করে থাকেন অথবা এটি মিস করেন তাহলে আপনি শুধুমাত্র নিয়মিত অপেক্ষমান লাইনে যোগ দিতে পারবেন যা একটি দীর্ঘ অপেক্ষার সময় হতে পারে । তাই নিশ্চিত করুন যে আপনি আরও একটু তাড়াতাড়ি আসছেন ।

ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম | ই-পাসপোর্টের জন্য ফি পরিশোধ?

ই-পাসপোর্ট আবেদনের ফি নির্ধারিত ব্যাংকে পেমেন্ট করা যায়। নির্ধারিত ব্যাংকগুলি – ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক এছাড়াও অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ই-চালানের মাধ্যমেও ফি পরিশোধ করা যায়। অধিকতর তথ্যের জন্য ক্লিক করুন এখানে

আমি অনলাইন অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা পেয়েছি, আমি কী করতে পারি?

আপনি যদি অনলাইন পেমেন্ট (ই-চালান পেমেন্ট পোর্টাল) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি প্রদানের চেষ্টা করে থাকেন তবে আপনি আপনার আবেদনের জন্য চূড়ান্ত নিশ্চয়তা না পেয়ে থাকলে আপনি নিম্নলিখিত কাজ করতে পারেনঃ

১। যদি অ্যাপ্লিকেশনটি "জমা দেওয়া" এবং পেমেন্টের ধরণটি "অনলাইন" হয় তবে আপনার "অ্যাপ্লিকেশন সারাংশ" দেখুন । যদি প্রদানের পরিমাণটি সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত হয় তবে আপনার অর্থ প্রদান সফলভাবে করা হয়েছিল। "অ্যাপ্লিকেশন সংক্ষিপ্তসার" মুদ্রণ করুন এবং যখন নথিভুক্তির জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাবেন তখন তা আপনার সাথে নিয়ে যান।

২। যদি কোনও অনলাইন অর্থপ্রদান সম্পাদিত না হয়ে থাকে তবে আপনি "অফলাইন পেমেন্ট" এ পরিবর্তন করতে পারেন এবং আবেদনটি জমা দিতে পারেন। এর পরে আপনি সহায়ক ব্যাংকগুলির একটিতে পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে পারেন এবং পাসপোর্ট অফিসে তালিকাভুক্তির সময় ব্যাঙ্ক পেমেন্ট স্লিপ সরবরাহ করতে পারেন।

৩। আপনি যদি অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ প্রদান করে থাকেন (ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল পেমেন্ট), এবং আপনার অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনেও কোনও নিশ্চিত অনলাইন পেমেন্টটি না দেখায় তবে আপনি নিম্নলিখিত কাজ করতে পারেনঃ

ই-চালান বা আপনি অর্থ প্রদানকারীর কাছ থেকে পেমেন্ট স্লিপ / লেনদেনের নথির অনুরোধ করতে পারেন এবং পাসপোর্ট অফিসে তালিকাভুক্তির সময় এটি উপস্থাপন করতে পারেন ।

আমি আমার অ্যাপ্লিকেশন ডেটাতে ভুল করেছি এবং আমার আবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে, আমি কী করতে পারি?

আপনি যদি মনে করেন যে ,আপনি আপনার ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছেন তবে কিছু অ্যাপ্লিকেশন ডেটা সঠিক না, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেনঃ

মুদ্রিত "অ্যাপ্লিকেশন সারাংশ" সহ আপনি পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুণ। আপনার আবেদন সেখানে পাওয়া যাবে এবং ভুল তথ্য এনরোলমেনট অফিসার দ্বারা পরিবর্তন করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণঃ সঠিক তথ্য প্রমাণের জন্য দয়া করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন এনআইডি বা বিআরসি এবং পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে) সরবরাহ করুন বা অন্যান্য সরকারি নথি সরবরাহ করুন।

আপনি যদি আবেদনে ভুল নামটি উল্লেখ করে থাকেন এবং আপনি যদি ইতিমধ্যে ভুল নামটি ব্যবহার করে পাসপোর্টের ফি প্রদান করে থাকেন (অনলাইন পেমেন্ট বা ব্যাঙ্ক পেমেন্টের মাধ্যমে) এটিও পাসপোর্ট অফিস ব্যবস্থা করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ছাড়পত্র প্রয়োজন যা কিছু সময় নিতে পারে।

ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন বা ই পাসপোর্ট ফরম পূরণের সময় নামের ( “Given Name” এবং “Surname”) অংশটি কিভাবে পূরণ করব?

Instruction to Fill up “Given Name” and “Surname”:

Case 1 : Name with single part

Example: Shamim

a. Given Name:-------------

b. Surname: Shamim

Case 2 : Name with double part

Example: Md Shamim

Option 1

a. Given Name: Md

b. Surname: Shamim

Option 2

c. Given Name:-------------

d. Surname: Md Shamim

Case 3 : Name with triple part

Example: Md Shamim Hossain 

Option 1

a. Given Name: Md Shamim

b. Surname: Hossain

Option 2

c. Given Name:Md 

d. Surname: Shamim Hossain

Case 4 : Name with four part

Example: Md Shamim Hossain Durjoy

Option 1

a. Given Name: Md Shamim Hossain

b. Surname: Durjoy

Option 2

c. Given Name: Md Shamim

d. Surname: Hossain Durjoy

Option 3

e. Given Name: Md

f. Surname: Shamim Hossain Durjoy

আমার পূর্বের এমআরপি পাসপোর্টের তুলনায় আমার কিছু ডেটা পরিবর্তিত হয়েছে, আমি কীভাবে আবেদন করতে পারি?

এটি স্বাভাবিক যে সময়ের সাথে সাথে কিছু ডেটা পরিবর্তিত হতে পারে যেমনঃ বর্তমান ঠিকানা, পেশা, জরুরি যোগাযোগের তথ্য বা বৈবাহিক অবস্থা।

আপনার যা করা দরকারঃ

দয়া করে আপনার ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনটির সাথে সাম্প্রতিকতম ডেটা জমা দিন। আপনি যখন ই-পাসপোর্টের জন্য নিবন্ধভুক্ত হন তখন পাসপোর্ট অফিসে এই পরিবর্তনগুলি পরিচালনা করা হয়। 

গুরুত্বপূর্ণঃ নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলির জন্য আপনাকে যে কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবেঃ-

পেশা পরিবর্তনঃ পেশাদারীত্তের প্রসংশা পত্র / শিক্ষার্থী আইডি সরবরাহ করুন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। 

বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তনঃ বিবাহের সনদপত্র সরবরাহ করুন। 

নাম, জন্মের তারিখ, জন্মের স্থান, পিতা বা মাতার নামঃ এনআইডি / বিআরসি, পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে), প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ করুন। এগুলি নিবন্ধনের সময় পাসপোর্ট অফিসে চেক করা হয়। সেক্ষেত্রে আবেদনের প্রসেসিংয়ে আরও সময় লাগতে পারে।

আপনার বর্তমান ঠিকানাটি যদি আপনার পূর্বের পাসপোর্টের বর্তমান ঠিকানার থেকে আলাদা হয় তবে ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনটি কেবলমাত্র নতুন বর্তমান ঠিকানার পাসপোর্ট অফিস দ্বারা প্রক্রিয়া করা যাবে। আপনার আবেদনটিতে বর্ণিত নতুন উপস্থিত ঠিকানা রয়েছে তা দয়া করে নিশ্চিত হন।

এটি পুলিশের বিশেষ শাখা দ্বারা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হতে পারে। যদি আপনার নতুন ঠিকানাটি যাচাই করা না যায় সে ক্ষেত্রে আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে, এই ক্ষেত্রে পরিশোধিত পাসপোর্টের ফি ফেরত প্রদান করা হবে না।

এছাড়াও আপনার যদি এমআরপি থেকে থাকে তবে বিশেষ শাখা পুলিশ কর্তৃক অন্য ছাড়পত্রের প্রয়োজন পড়বে না। নিবন্ধনের সময় পাসপোর্ট অফিসে জিজ্ঞাসা করুন।

ই পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইন আবেদন করার সুবিধা

অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সেবা ব্যবহার করার সময় আপনি নিম্নলিখিত অতিরিক্ত পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পারেনঃ

⦁ আবেদনকারীর নিজের তথ্য নিজে পুরণ করে বিধায় ভুল ভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে না।

⦁ পাসপোর্ট ফি অনলাইনে পরিশোধ করা যায়।

⦁ আবেদন পত্র জমার সাক্ষাতের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এতে সময় সাশ্রয় হবে।

⦁ আবেদনের বিস্তারিত অনলাইনে পাসপোর্ট অ্যাকাউন্ট চেক করা যাবে। 

আমার একটি এমআরপি আছে, আমি কিভাবে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারি?

আপনার যদি ইতিমধ্যে এমআরপি থাকে তবে দয়া করে সম্পূর্ণ অনলাইন আবেদন ফর্মটি পূরণ করুন। এমআরপি থেকে প্রাপ্ত ডেটার কোনও "অটো ফিল-ইন" নেই।

জমা দেওয়ার পরে নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যান। আপনার এমআরপি, এনআইডি / বিআরসি এবং অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়ক নথি আপনার সাথে আনুন।

এছাড়াও আপনার যদি এমআরপি থেকে থাকে তবে বিশেষ শাখা পুলিশ কর্তৃক অন্য ছাড়পত্রের প্রয়োজন পড়বে না। নিবন্ধনের সময় পাসপোর্ট অফিসে জিজ্ঞাসা করুন।

ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য নিম্মবর্ণিত কাগজপত্রের প্রয়োজনঃ

 ১. প্রিন্টকৃত আবেদন ফরম।

 ২. জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল ও ফটোকপি।

 ৩. পূর্বের পাসপোর্ট ও এর ফটোকপি (যদি থাকে)।

 ৪. ১৮ (আঠার) বছরের নিম্মে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ ও পিতামাতার এনআইডি।

 ৫. ০৬ (ছয়) বছরের নিম্মে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ‘3R’ আর সাইজের ছবি।

 ৬. ১৫ (পনের) বছরের নিম্মে আবেদনকারীদের পিতা-মাতার ছবি অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ই পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

ই পাসপোর্ট তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করতে সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে। যেমনঃ-

স্থায়ী ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা অথবা অন্যান্য তথ্যাদি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল করতে হবে।

আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে কি কি কাগজপত্র সাথে আনবেন, তাহলে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

ই পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করার পর কি জরুরী সেবার জন্য আবেদন রূপান্তরিত করা যাবে ?

হ্যাঁ, আবেদন চুড়ান্ত অনুমোদনের পূর্ব পর্যন্ত এটি সম্ভব। আবেদন কোন পর্যায়ে আছে দেখুন এখানে জরুরি সেবার জন্য অতিরিক্ত ফি নির্ধারিত মাধ্যমে পরিশোধ করুন। পাসপোর্টের ফি তথ্যাদি এখানে দেখুন – এ ধরনের অতিরিক্ত ফি একবারই দেওয়া যায়।

যদি অনলাইন পেমেন্ট করে থাকেন তাহলে ফি যোগ করা যাবে। পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

নিম্নের কাগজপত্র সঙ্গে রাখুনঃ

⦁ ই-পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপ।

⦁ ব্যাংক পেমেন্ট স্লিপ।

আমার ই-মেইল অ্যাড্রেস নাই। আমি অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবো?

অনলাইন আবেদনের জন্য ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রয়োজন। যদি আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস না থাকে তাহলে পিডিএফ ফরম এ আবেদন করুন। আবেদনের পূর্বে ই-মেইল অ্যাড্রেস খোলার জন্য Google ও Yahoo  ব্যবহার করতে পারবেন।

কোথায় ই-পাসপোর্ট পাবো?

ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস ও বিদেশেস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস হতে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।আপনার এলাকায় যদি ই-পাসপোর্ট চালু না হয়ে থাকে তবে আপনি অপেক্ষা করুন। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করুন।

দ্রষ্টব্যঃ আবেদনকারীগণ শুধুমাত্র বর্তমান ঠিকানার অধীনস্ত পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট কোন কোন জেলায় চালু হয়েছে

সর্বপ্রথম ৬ টি জেলায় ই পাসপোর্ট এর কার্যক্রম শুরু করে সরকার। কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান,  রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর জেলায় একযোগে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এখন যেসব জেলায় ই পাসপোর্ট চালু আছে তা নিচে দেওয়া হলঃ-

● লালমনিরহাট

● মেহেরপুর

● নীলফামারী

● পঞ্চগড়

● পিরোজপুর

● শরীয়তপুর

● ঠাকুরগাঁও

● নাটোর

● মাগুরা

● নড়াইল

● লক্ষ্মীপুর

● টাঙ্গাইল

● জামালপুর

● শেরপুর

● নেত্রকোনা

● মাদারীপুর

● ফরিদপুর

● রাজবাড়ী

● ঝিনাইদহ

● সাতক্ষীরা

● বাগেরহাট

● ভোলা

● বরগুনা

● সুনামগঞ্জ

● হবিগঞ্জ

● মৌলভীবাজার

● যশোর

● খুলনা

● কুষ্টিয়া

● ব্রাহ্মণবাড়িয়া

● রাজশাহী

● চাঁপাইনবাবগঞ্জ

● বগুড়া

● রংপুর

● দিনাজপুর

● নওগাঁ

● জয়পুরহাট

● বরিশাল

● পটুয়াখালী

● পাবনা

● মনসুরাবাদ

● ময়মনসিংহ

● আগারগাঁও

● যাত্রাবাড়ী

● উত্তরা

● ঢাকা সেনানিবাস

● বাংলাদেশ সচিবালয়

● গাজীপুর

● পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

● গাইবান্ধা

● গোপালগঞ্জ

● মানিকগঞ্জ

● নরসিংদী

● নোয়াখালী

● ফেনী

● চান্দগাঁও

● কুমিল্লা

● মুন্সীগঞ্জ 

● সিলেট

● সিরাজগ

● কিশোরগঞ্জ

● চুয়াডাঙ্গা

● ঝালকাঠি

● কুড়িগ্রাম

● বান্দরবান

● চাঁদপুর

● কক্সবাজার

● খাগড়াছড়ি

● নারায়ণগঞ্জ

● রাঙ্গামাটি

বর্তমানে চালুকৃত ই-পাসপোর্ট অফিস তালিকা:

ঢাকা জেলা – বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস,আগারগাঁও।

ঢাকা জেলা – আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, উত্তরা।

ঢাকা জেলা – আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, যাত্রাবাড়ী।

ই পাসপোর্ট বাংলাদেশ কততম

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৮টি দেশে -পাসপোর্ট চালু রয়েছে। বাংলাদেশ ১১৯ তম দেশ হিসেবে -পাসপোর্ট চালু করেছে। -পাসপোর্ট মূলত ৪৮ ও ৬৪ পাতার। ই পাসপোর্ট তিন ধরনের হয়।যেমনঃ- 'অতি জরুরি', 'জরুরি' ও 'সাধারণ'। অর্থাৎ ই পাসপোর্ট বাংলাদেশ ১১৯ তম।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে সারা পৃথিবীর ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায়। এশিয়ার মধ্যে এ সুবিধা দেয় শ্রীলংকা, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পূর্ব তিমুর ও মালদ্বীপ। এছাড়াও আফ্রিকার ১৬টি দেশ, ওশেনিয়া অঞ্চলের ৭টি দেশ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১২টি দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ভিসা ফ্রি’ সুবিধা পাওয়া যায়।

আমার পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তুলনায় আমার বর্তমান ঠিকানাটি পরিবর্তিত হয়েছে আমাকে কোথায় আবেদন করতে হবে?

যদি আপনার বর্তমান ঠিকানাটি পরিবর্তিত হয় এবং এখন আগের পাসপোর্টের জন্য ব্যবহৃত ঠিকানা থেকে আলাদা হয় তবে আপনার যা করা দরকার তা হলঃ-

১। দয়া করে ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনটিতে আপনার নতুন উপস্থিত ঠিকানাটি লিখুন।

২। আপনার নতুন উপস্থিত ঠিকানার সাথে সম্পর্কিত পাসপোর্ট অফিসটি দেখুন। আপনি যখন অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে আপনার বর্তমান ঠিকানাটি প্রবেশ করেন তখন আপনার আবেদনটি কোন পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত হয়ে যায়। আপনি কেবল সেখানে আবেদন করতে পারেন।

৩। যদি আপনার নতুন উপস্থিত ঠিকানার সাথে সম্পর্কিত পাসপোর্ট অফিসটি এখনও ই-পাসপোর্ট পরিষেবা সরবরাহ না করে থাকে - আপনার অ্যাপ্লিকেশন সহ আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। অথবা আপনার এখনই প্রয়োজন হলে সেখানে এমআরপি-র জন্য আবেদন করতে পারেন।

আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ই-পাসপোর্ট রোল আউট করার পরিকল্পনা করছি। আমরা ক্রমাগত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাগুলি আপডেট করি - সেখানে আপনি ই-পাসপোর্ট ইতিমধ্যে আপনার অঞ্চলে এসেছেন কিনা তা জানতে পারবেন।

ই পাসপোর্টে আবেদনের জন্য সাথে করে ছবি আনতে হবে কি না?

না, পাসপোর্ট অফিসে তালিকাভুক্তির সময় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হবে। সুতরাং আবেদনকারীদেরকে আবেদনের সঙ্গে ছবি দিতে হবে না। 

ব্যতিক্রমঃ

★ ০৬ (ছয়) বছরের নিম্মে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ‘3R’ সাইজের ছবি বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির কাজ সম্পাদনের লক্ষে দাখিল করতে হবে।

★ ১৫ (পনের) বছরের নিম্মে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার ছবি আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হহবে।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য এম আর পি আবেদন ফরম ব্যবহার করা যাবে কি না?

না, ই-পাসপোর্টের জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম ব্যবহার করতে হবে। ফরম পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে

আমার পাসপোর্ট আবেদনের অগ্রগতি কিভাবে দেখতে পারব?

পাসপোর্ট আবেদনের অগ্রগতি নিম্নরূপভাবে দেখা যেতে পারে ।

অনলাইন চেকঃ ই-পাসপোর্ট পোর্টালে ‘স্ট্যাটাস চেক’ এখানে, জন্ম তারিখ ও আবেদনের ক্রমিক সংখ্যা প্রবেশ করুন। এবার সার্চ অপশনে ক্লিক করুন। আপনি আপনার অনলাইন পোর্টাল অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের অবস্থা দেখতে পারেন। এখানে ক্লিক করেও আপনি ই পাসপোর্টের অগ্রগতি চেক করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট এর জন্য অতিব জরুরী আবেদন কিভাবে করতে পারি?

অনলাইনে আবেদনপত্র পুরণের সময় জরুরী সিলেক্ট করুন। এরপর ব্যাংকে অতিব জরুরী ফি প্রদান করুন। পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের সময় অপারেটরকে জানান। অপারেটর আপনার আবেদনটি অতিব জরুরীতে পরিবর্তন করে দিতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট এর জন্য অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবা কি?

কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকদের অতীব জরুরী (খুব কম সময়ের মধ্যে) পাসপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত ও ফি পরিশোধ সাপেক্ষে অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

অতীব জরুরী পাসপোর্ট ডেলিভারি কত দিনে পাওয়া যাবে?

অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে। 

অতীব জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন?

বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক আবেদন করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র পূর্বে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীগণ স্থায়ী ঠিকানার তথ্য অপরিবর্তিত রেখে অতীব জরুরী সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবাটির জন্য কোথায় আবেদন করতে হবে?

বাংলাদেশের যেকোনো বিভাগীয়/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করা যাবে। এই সেবাটি বাংলাদেশ দূতাবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

অতীব জরুরী পাসপোর্ট প্রদান/ডেলিভারি প্রক্রিয়া কি? 

শুধুমাত্র আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে অতীব জরুরী পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।

ঠিকানাঃ

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ভবন নং - ২ই-৭, শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাওঁ, ঢাকা-১২০৭।যোগাযোগঃ +৮৮০২-৮১২৩৭৮৮ ।

আপনাদের বুঝতে যদি কোথাও সমস্যা হয় তাহলে নিচের দেওয়া ইউটিউব ভিডিও লিংক থেকে ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ E-passport 

সকল পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার ২০২২

বাংলাদেশ সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসের জন্য আবেদন

এই আবেদন ফর্মটি কেবলমাত্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য। 
অন্যান্য পাসপোর্ট অফিসগুলিতে আবেদনের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না। তালিকাভুক্তির আগে আবেদনকারীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে।

আপনি যদি বাংলাদেশ সচিবালয়ে আবেদনের যোগ্য হন, তবে আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করুন, প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পূরন করুন এবং তালিকাভুক্তির জন্য উপস্থাপন করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ 
১। প্রথমে পিডিএফ ফর্মটি কম্পিউটারে ডাউনলোড করে নিন। 
২। সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাংশন সমর্থন করার জন্য “Adobe Acrobat Reader” সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে আবেদনটি পূরন করুণ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url