ইঞ্জিনের সাধারণ রক্ষনাবেক্ষণ এবং ত্রুটিসমূহ ও তার প্রতিকার
আমরা জানি, ইঞ্জিন বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ ও পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত। তাই এর কর্মক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ইঞ্জিনের ঐ সমস্ত যন্ত্রাংশ ও পদ্ধতির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। ইঞ্জিনের যান্ত্রিক শক্তির উৎস হচ্ছে জ্বালানি। ভেজাল খাদ্য ও পানি যেমন মানুষের শরীর ও পেট খারাপ করতে পারে। তেমনি ভেজাল জ্বালানিও ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে।
ভেজাল জ্বালানি ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ফুয়েল পাম্প ও ইনজেক্টর এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে কাবুরেটরের জেটগুলোকে নষ্ট করে দেয়। আবার ইঞ্জিনে যদি সঠিক জ্বালানি ব্যবহার করা না হয় অর্থাৎ যদি ডিজেলের ক্ষেত্রে কেরোসিন বা পেট্রোল ব্যবহার করা হয় তবে ইঞ্জিনের উপরোক্ত অংশগুলো ক্ষতিগস্থ হবে। তৈলাক্তকরণ ও শীতলীকরণে যদি সঠিক গুণ সম্পন্ন তৈলাক্তকারক (Libricant) ও পানি ইত্যাদি ব্যবহার করা না হয়, তবে ইঞ্জিনের চলমান অংশগুলোর ক্ষতিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ধরুন বন্ধু বান্ধবসহ গাড়ী নিয়ে আপনারা দূর পাল্লায় ভ্রমণে বের হয়েছেন।
কিন্তু মাঝ পথে গিয়ে হঠাৎ পাড়ীর স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল বা স্টাট নিচ্ছে না। অথবা প্রতিদিনের চেয়ে গাড়ীটি আজ ভিন্ন অস্বাভাবিক শব্দ বা আচরণ করছে। চালকের উচিত এর কারণ খুঁজে বের করা এবং কোন নাট ঢিলা বা আলগা আছে কিনা তা দেখা। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, ইঞ্জিনকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম করে রাখা, ইঞ্জিনের মূল্যবান যন্ত্রাংশকে ক্ষয় ও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা এবং প্রতিনিয়ত মেরামত খরচ কমানোর জন্য ইঞ্জিন চালনায়, জ্বালানি ও তৈলাক্তকারক ব্যবহারে ইঞ্জিনের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এরূপ সতর্ক থাকা এবং ইঞ্জিনের প্রতি যত্নবান হওয়াকে আমরা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে পারি। এসব ছোট খাট রক্ষণাবেক্ষণ ইঞ্জিনকে বড় দুর্ঘটনা ও যান মালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।
ইঞ্জিনের ত্রুটি নিরসনে নিম্নলিখিত নীতিগুলো অনুসরণ করতে হবে। যথাঃ-
১। ইঞ্জিনের কোন অংশ কাজ না করলে সরাসরি তা না খুলে ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
২। সহজ থেকে জটিল অপারেশনে যেতে হবে।
৩। কম সময়ে সম্পন্ন করা যায় এ ধরনের চেক থেকে বেশি সময় দরকার হয় এমন চেকের দিকে আগাতে হবে।
৪। প্রথমত ইঞ্জিনের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান করা।
৫। ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে নিজের এবং ইঞ্জিনের নিরাপত্তার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ পদক্ষেপগুলোঃ
ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ পদক্ষেপগুলোকে সাধারণত দৈনিক, নিয়মতান্ত্রিক ও ঋতুভেদ এ চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথাঃ-
১। সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ (General maintenance )
২। দৈনিক রক্ষণাবেক্ষণ (Daily maintenance)
৩। নিয়মতান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ (Periodical maintenance)
৪। ঋতুভেদে রক্ষণাবেক্ষণ (Seasonal maintenance)
সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণঃ
সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ কোন কারিগরী জ্ঞান বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই। মালিক বা চালকের সহিষ্ণু সচেতনতা এবং সাধারণ জ্ঞানই তার জন্য যথেষ্ঠ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যেখানে সেখান গাড়ী পার্কিং না করা এবং নিরাপদ জায়গায় রাখা। আবার অনভিজ্ঞ লোক কর্তৃক বা বন্ধুর পথে ইঞ্জিন চালোনা না করা বা ইঞ্জিনের কোন অংশ যখন-তখন না খোলা। সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণের নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। সাধারণ প্রতিরোধম লক ব্যবস্থাকেই কারিগরী রক্ষণাবেক্ষণের ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করা উচিত। ইঞ্জিন একটি ম ল্যবান সম্পদ। সুতরাং এটির প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এ মনোভাবই সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণের মূল বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত।
দৈনিক রক্ষণাবেক্ষণঃ
এ ধরনের পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ চালক নিজে করতে পারেন। দৈনিক রক্ষণাবেক্ষণের উপর ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা নির্ভর করে। দৈনিক রক্ষণাবেক্ষণে করণীয় কাজগুলো নিম্নরূপ-
১ । ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়ার পূর্বে করণীয়ঃ
(ক) ধূলাবালি পরিষ্কার করাঃ ইঞ্জিনের ধূলাবালি পরিস্কার করতে হবে। অন্যথায় তা ফুয়েল সিস্টেমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।
(খ) জ্বালানি ট্যাংকে জ্বালানির পরিমাণ ও গুণাগুণ পরীক্ষা করাঃ জ্বালানি ট্যাংকে জ্বালানির পরিমাণ পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। ট্যাংকে কম জ্বালানি থাকলে নিচের তলানীতে পড়ে থাকা ময়লা জ্বালানি পাম্প, ইনজেক্টর, কাবুরেটরে ঢুকে এগুলোর ক্ষতিসহ অকেজো করে দিতে পারে। যে কোন সময় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সঠিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ সঠিক জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। জ্বালানিতে যেন ধূলাবালি, ময়লা, পানি বা ভেজাল না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে।
(গ) তৈলাক্তকারক তেলের (Lubricant) পরিমাণ ও গুণাগুণ পরীক্ষা করাঃ ডিপস্টিকের সাহায্যে ক্র্যাংককেসে ইঞ্জিন তেল বা মবিলের পরিমাণ দেখতে হবে। ডিপস্টিকে দুটো মাত্রা নির্দেশক দাগ আছে। নিচের দাগটি নিম্নতম মাত্রা এবং ওপরের দাগটি উচ্চতম মাত্রা নির্দেশ করে। ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়ার সময় তেলের মাত্রা এ দু’দাগের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকতে হবে। তেলের পরিমাণ কম বা বেশি উভয়ই ক্ষতিকারক। তেলের মাত্রা বা পরিমাণ পরীক্ষা করার সময় দুটো বিষয়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রথমতঃ ইঞ্জিনটি যেন সমতল অবস্থানে থাকে।
দ্বিতীয়তঃ ডিপস্টিককে প্যাঁচ ঘুরিয়ে ভেতরে ঢুকানো যাবে না। সোজাসুজি ডিপস্টিককে ক্র্যাংককেসে ঢোকাতে হবে। ইঞ্জিনে তেলের মাত্রা বা পরিমাণ মাপার সময় ইঞ্জিন তেলের আঠালো বা পিচ্ছিলতা আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে।
(ঘ) শীতলকারক পানির পরিমাণ পরীক্ষা করাঃ পানির ট্যাংকে পানির পরিমাণ কম থাকলে যোগ করতে হবে। ইঞ্জিনের শীতলীকরণ পদ্ধতির জন্য স্বাদু পানি ব্যবহার করতে হবে। এতে যেন ভাসমান ময়লা আবর্জনা না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশানুযায়ী (Instruction) ক্র্যাংককেসে তেল, ফুয়েল ট্যাংকে নির্দিষ্ট ফুয়েল, চার্ট অনুযায়ী গ্রীজ ও তৈলাক্ত করা এবং পরিচালনা প্রক্রিয়ার স্থিতিকাল ও অন্যান্য কাজগুলোর লগ-বই (Log-book) তৈরি করতে হবে।
(ঙ) বন্ধনযুক্ত ও বেল্টযুক্ত জোড়গুলি (Joint) পরীক্ষা করাঃ ইঞ্জিনের বিভিন্ন নাট-বল্টুর সংযুক্তি এবং ফ্যান বেল্টের টেনশন পরীক্ষা করে প্রয়োজন অনুসারে এঁটে বা ঢিলা করে দিতে হবে।
(চ) স্পার্ক প্লাগঃ স্পার্ক প্লাগ বা ইনজেক্টর এবং ছাঁকনি পরিষ্কার করতে হবে।
(ছ) লিভারঃ গিয়ার পরিবর্তক লিভার নিউট্রাল অবস্থানে রাখতে হবে।
২। ইঞ্জিন চলাকালে করণীয়ঃ
(ক) মিটার পরীক্ষা করাঃ ড্যাস বোর্ডে মিটারগুলো চালু আছে কিনা, বিশেষ করে মবিল মিটার ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
(খ) ইঞ্জিন চালু করার পর কমপক্ষে ৫ মিনিট বোঝাহীন অবস্থায় চালানোঃ ইঞ্জিন চালুর পর পরই বোঝা দেয়া উচিত নয়। ইঞ্জিনের অপারেটিং তাপমাত্রা লাভ এবং বিভিন্ন অংশে তৈলাক্তকারক ঠিক মত পৌঁছাতে ইঞ্জিনকে কমপক্ষে ৫ মিনিট বোঝাহীন অবস্থায় চলতে দিতে হবে।
(গ) নতুন বা মেরামত শেষে ইঞ্জিন চালোনাঃ নতুন বা মেরামত শেষে ইঞ্জিনকে প্রথম ৫০ ঘণ্টা পূর্ণ বোঝা দিয়ে চালানো উচিত নয়। নতুন বা মেরামত শেষে ইঞ্জিন চালানোর ফলে ইঞ্জিনের ঘর্ষনশীল অংশ ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রথম ৫০ ঘন্টা ইঞ্জিনকে অল্প বোঝা দিয়ে চালাতে হবে। ইঞ্জিনকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতে যন্ত্রাংশের গতি ও বোঝা ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত।
(ঘ) ইঞ্জিনে তেলের প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করাঃ ইঞ্জিন চলাকালে ইঞ্জিনে তেলের প্রবাহ বা চলাচল কোন কারণে বন্ধ হলে অল্প সময়ের মধ্যেই ইঞ্জিনের সমূহ ক্ষতি হতে পারে। তাই, ইঞ্জিনে তেলের প্রবাহ হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
(ঙ) তেল ও জ্বালানির অপচয় হচ্ছে কিনা পর্যবেক্ষণ করাঃ গ্যাসকেট, বিয়ারিং, বা ক্র্যাংক কেসের মাত্রাতিরিক্ত তেল অন্য কোন ভাবে অপচয় হচ্ছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ লাইনে ত্রুটি, বা অন্য কারণে জ্বালানির অপচয় হচ্ছে কিনা দেখতে হবে।
(চ) নির্গমন ধুয়া পর্যবেক্ষণ করাঃ ইঞ্জিনের নির্গত ধুয়ার রঙ দেখে ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করতে হবে। বেশি পরিমাণে সাদা গ্যাস পিস্টন রিং ক্ষয় হয়ে যাওয়া এবং কালো গ্যাস জ্বালানি সম্পূর্ণ না জ্বলার চিহ্ন বহন করে।
(ছ) ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক শব্দ বা কম্পন পর্যবেক্ষণ করাঃ ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক শব্দ বা কম্পন হলে সাথে সাথে ইঞ্জিন বন্ধ করে কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হওয়া বা অনিয়মিত কার্যক্রম প্রদর্শনের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
৩। ইঞ্জিন বন্ধ করা এবং বন্ধ করার পর করণীয়ঃ
(ক) ইঞ্জিন বন্ধ করার পূর্বে বোঝাহীন অবস্থায় ৫ মিনিট চালানো উচিত।
(খ) ডিকম্প্রেশন লিভার টেনে ইঞ্জিন বন্ধ না করাঃ- ইঞ্জিনকে রেগুলেটরের সাহায্যে বন্ধ করতে হবে।
তারপূর্বে বোঝা নামিয়ে ফেলতে হবে। ডিকস্প্রেশন লিভার টেনে ইঞ্জিন বন্ধ করা উচিত নয়।
(গ) এগজস্ট ও ইনটেক ভাল্ভকে বন্ধ রাখাঃ ইঞ্জিন বন্ধের পর এগজস্ট ও ইনটেক ভাল্ভ বন্ধ রাখতে হবে, নতুবা খোলা অবস্থায় কিছু দিনের মধ্যেই ভাল্ভ ও লাইনারে মরিচা ধরতে পারে।
নিয়মতান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণঃ
এ রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভূক্ত বহু সংখ্যক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। এ রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে - অনুমোদিত কার্যকালের মধ্যে স্বাভাবিক কারিগরী অবস্থাকে নিশ্চিত করা।
ইঞ্জিনের নিয়মতান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণঃ
(ক) প্রতি শিফটের পর করণীয়ঃ দিনের শেষে বা দুটো শিফটের মধ্যবর্তী সময়ে (বিরতি কালে) সম্পন্ন করতে হয়।
(খ) খুব ধূলাবালি অবস্থায় কাজ করলেঃ ধূলাবালি পরিস্কার, বায়ু পরিষ্কারকের তৈল বদলানো বা এয়ার এলিমেন্ট (Air element) পরিস্কার করতে হবে।
(গ) নতুন ইঞ্জিন হলে প্রথম ২/৩ বার প্রতি শিফট অন্তর অন্তর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে।
এ রক্ষণাবেক্ষণের স্থিতিকাল ৫০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়।
নিম্নে নিয়মতান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণে করণীয় কাজগুলো আলোচনা করা হলোঃ-
ইঞ্জিন প্রতি ৫০ ঘন্টা ব্যবহারের পর করণীয়ঃ
প্রতি ৫০ ঘন্টা চলা বা ৪৫০ লিটার জ্বালানি ব্যবহারের পর-
১। জ্বালানি ট্যাংক পরিস্কার ফাইন ফুয়েল ফিল্টার ও কোর্স ফুয়েল ফিল্টার হতে তলানি অপসারণ করা। প্রয়োজনে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে।
২। রেডিয়েটরে পরিস্কার পানি দিতে হবে বা বদলাতে হবে।
৩। তৈলাক্তকারক (মবিল) পরিবর্তন করতে হবে।
৪। এয়ার ক্লিনার ও সিন্ট্রিফিউগাল ওয়েল ফিল্টার পরিস্কার করতে হবে।
৫। ফ্যান ব্যাল্টের টান পরীক্ষা করতে হবে।
ইঞ্জিন প্রতি ১০০ ঘন্টা ব্যবহারের পর করণীয়ঃ
১। প্রতি ১৫ কার্যঘন্টা চলা বা ১৬০০ লিটার জ্বালানির ব্যবহারের পর মুফলার (Mufler) হতে জমাকৃত কার্বন অপসারণ করতে হবে।
২। ইঞ্জিন ক্র্যাংককেস, ফুয়েল পাম্প হাউজ গভর্ণরের মবিল পরিবর্তন করতে হবে। রুটিন মাফিক বিভিন্ন যন্ত্রাংশে তেল মালিশ করতে হবে।
৩। ফ্যান ব্যাল্টের টান পরীক্ষা করতে হবে। ভাল্ভ ও ভাল্ভগুলোর আসন, রকার আর্ম ও চাপ কমানো যন্ত্রাংশের মধ্যে ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ ও মেরামত করতে হবে।
৪। এয়র ক্লিনার সামপ (Sump) ফিল্টারিং ইলিমেন্ট (Sump) গুলো পরিস্কার করতে হবে।
সাম্পটা পরিস্কার মবিল দ্বারা পূর্ণ এবং ক্লিনারের জোড়া ইনটেক লাইনের বায়ু রোধীতা পরীক্ষা করতে হবে।
ইঞ্জিন প্রতি ৩০০ ঘন্টা ব্যবহারের পর করণীয়ঃ
প্রতি ৩০০ কার্যঘন্টা বা ২০০০ লিটার জ্বালানি ব্যবহারের পরঃ-
১। বিশেষ পরীক্ষা স্ট্যান্ডে ফুয়েল পাম্পকে পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে বদলাতে হবে।
২। ভাল্ভ গিয়ার এবং কমপ্রেসন রিলিজ মেকানিজমের ক্লিয়ারেন্স পরীক্ষা করে এডজাস্ট করতে হবে।
৩। ফ্যান বেল্টের টান এবং গুরুত্বপূর্ণ নাট ও বল্টু গুলো পরীক্ষা করে প্রয়োজনে এঁটে দিতে হবে।
৪। পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে কাবুরেটর পরিষ্কার ডিজেল ইঞ্জিনের ইনজেক্টরে জমাকৃত কার্বন পরিস্কার করতে হবে।
৫। ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ তৈলাক্ত করতে হবে।
বাৎসরিক করণীয়ঃ
১। রেডিয়েটর পরিস্কার করতে হবে।
২। প্রয়োজনে ইঞ্জিনকে ওভার হলিং করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণে করণীয়ঃ
১। জ্বালানি ট্যাংক হতে সম্পূর্ণ জ্বালানি বের করে দিতে হবে।
২। তৈলাক্তকারক পানি বের করে দিতে হবে।
৩। ইনটেক ও এগজস্ট ভাল্ভ বন্ধ অবস্থায় রাখতে হবে।
৪। দীর্ঘ মেয়াদী সংরক্ষণে ক্র্যাংককেসের তেল পরিবর্তন এবং বিভিন্ন প্রকার সংযুক্তি ও যন্ত্রাংশ তেলময় করা বা খুলে স্বতন্ত্র ভাবে রাখার বাবস্থা করা যেতে পারে।
৫। শুকনা ও পরিষ্কার জায়গাতে তাবু বা মোটা পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
ঋতু ভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণঃ
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঋতু ভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-
(ক) হেমন্ত - শীতকালে রক্ষণাবেক্ষণে করণীয়ঃ
১। থার্মোস্ট্যাটের কার্য পরীক্ষা করা।
২। ব্যাটরীর ইলেকট্রোলাইটের ঘনত্ব বৃদ্ধি করা।
৩। ইঞ্জিনের ক্র্যাংককেস, ফুয়েল পাম্প, গিয়ার বক্স ইত্যাদিতে শীতকালীন গ্রেডের তেল ব্যবহার করা।
(খ) বসন্ত - গ্রীস্মকালে রক্ষণাবেক্ষণে করণীয়ঃ
১। ইঞ্জিনের ক্র্যাংককেস, ফুয়েল পাম্প, গিয়ার বক্স ইত্যাদিতে গ্রীষ্মকালীন গ্রেডের তেল ব্যবহার করা।
২। ব্যাটারী ইলেকট্রোলাইটের ঘনত্বকে হ্রাস করা।
৩। কুলিং সিস্টেম হতে জমাকৃত কার্বন অপসারণ করা।
আমাদের দেশে সাধারণত শীত - গ্রীষ্ম চরম ভাবাপন্ন নয় বলে এ রক্ষণাবেক্ষণ তেমন গুরুত্ব পূর্ণ নয়।
তবে বর্ষাকালে ইঞ্জিনকে বৃষ্টি বাদল থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে স্থায়ীত্ব কমে যাবে।
আরও পড়ুনঃ গাড়িতে কোন ধরণের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা বেশি কার্যকরী?
ইঞ্জিনের কিছু সাধারণ ত্রুটি ও তার প্রতিকার নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না।
কারণঃ
১। সেলফ ষ্টার্টার ঘুরে না।
২। ব্যাটারী চার্জ কম।
৩। ব্যাটারীর টার্মিনাল ঢিলা বা ক্ষয় হয়ে গেছে।
৪। ট্যাংকে জ্বালানি নেই।
প্রতিকারঃ
১। ব্যাটারী চেক করতে হবে।
২। টার্মিনাল পরিষ্কার এবং সংযোগ টাইট করতে হবে।
৩। ট্যাংকে জ্বালানি ভরতে হবে।
পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রেঃ
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না।
কারণঃ
পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে
১। ইগনিশন সুইচ বন্ধ
২। ত্রুটিপূর্ণ বা ময়লাযুক্ত স্পার্ক প্লাগ
ও কনডেনসার
৩। ইগনিশন টাইমিং সঠিক নয়
৪। কনডেনসার ত্রুটিপূর্ণ
৫। জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ
প্রতিকারঃ
১। সুইচ চালু করতে হবে।
২। পরিষ্কার করতে হবে বা পরিবর্তন করতে হবে।
৩। টাইমিং ঠিক করতে হবে।
৪ । পরিবর্তন করতে হবে।
৫। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রেঃ
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না।
কারণঃ
১। জ্বালানি সরবরাহ লাইনে বাতাস ঢুকেছে।
২। জ্বালানি ফিল্টার বন্ধ।
৩। জ্বালানি পাম্প আটকে যাচ্ছে।
৪। প্লাঞ্জার আটকে যাচ্ছে।
৫। স্প্রিং ভাঙ্গা।
৬। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ স্থাপিত অংশগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত।
৭। ইনজেকটর ত্রুটিপূর্ণ।
৮। স্প্রিং চাপ কম বা বেশি।
৯। নজল ছিদ্র বন্ধ।
প্রতিকারঃ
১। হ্যান্ড প্রাইমার চালনা করে বাতাস।। ট্রান্সফার পাম্প, জ্বালানি ফিল্টার এবং ইনজেকশন পাম্পের প্রবেশ পথ থেকে বের করে দিতে হবে।
২। প্রয়োজনমত পরিষ্কার বা পরিবর্তন করতে হবে।
৩। অনুমোদিত ডিলারের কাছে মেরামতের জন্য পাঠাতে হবে।
৪। এডজাষ্টিং দিয়ে চাপ এডজাষ্ট করতে হবে।
৫। পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিন তৈলাক্তকরণ বা পিচ্ছিল করণ পদ্ধতি বা ইঞ্জিন লুব্রিকেটিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিনের অনিয়মিত কার্যক্রম এবং পূর্ণ দক্ষতা অর্জন না করা।
কারণঃ
১। তেল সরবরাহ পদ্ধতিতে বায়ু প্রবেশ করলে।
২। নজল ময়লাযুক্ত বা বন্ধ।
৩। ঠিক সময়ে ফুয়েল পাম্প না করা।
৪ । ইনজেক্টর কম বা বেশি জ্বালানি স্প্রে করা বা বন্ধ থাকলে।
৫। স্বল্প সংকোচন কার্বুরেটরের চোক ও থ্রট ভালভ ঢিলা হওয়া।
৬। ভূল ভালভ্ বা ভূল স্থাপন।
৭। সিলিন্ডার হেডের গ্যাসকেট টিলা।
৮। ভূল পিস্টন বা রিং ও লাইনার।
৯। ময়লাযুক্ত বায়ু পরিষ্কারক।
প্রতিকারঃ
১। পরিষ্কার করতে হবে/বায়ু বের করতে হবে।
২। নজল পরিবর্তন করতে হবে।
৩। ফুয়েল পাম্প এডজাস্ট করতে হবে।
৪ । ইনজেকশান প্রেসার এডজাস্ট করতে হবে। পরিষ্কার এবং টাইট করা।
৫। টেপেট ক্লিয়ার এডজাস্ট করা।
৬। সিলিন্ডার হেড দৃঢ় করা এবং প্রয়োজনে গ্যাসকেট পরিবর্তন।
৭। পরিষ্কার করতে হবে ও সঠিক স্থাপন করতে হবে।
৮। পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিন শীতলীকরণ পদ্ধতি বা ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হচ্ছে।
কারণঃ
১। শীতলীকারকের অভাব।
২। ফ্যান বেল্ট ঢিলা।
৩। থামোষ্ট্যাট ভালভ অকেজো থাকলে।
৪। ঘূর্নায়মান যন্ত্রাংশ গুলো বেশি যাম বা ঢিলা হলে।
৫। ওয়াটার পাম্প কাজ করছে না।
৬। তৈলাক্তকারক তেল পাতলা হলে এবং ক্র্যাংককেইজে তেল বেশি হলে।
৭। ওয়াটার জ্যাকেট ময়লা বা চুনের আবরণ পড়লে।
৮। ইগনিশন টাইমিং সঠিক নয়।
৯। অতিরিক্ত বোঝা হলে।
প্রতিকারঃ
১। রেডিয়েটরে পানি সরবরাহ করতে হবে।
২। ফ্যান বেল্ট প্রয়োজনমত এঁটে (Tight) দিতে হবে।
৩। খারাপ ভাল্ভ পরিবর্তন করতে হবে।
৪। পরিস্কার বা এঁটে দিতে হবে।
৫। মেরামত বা বদলাতে হবে।
৬। সঠিক তৈলাক্তকরণ করতে হবে।
৭। ওয়াটার জ্যাকেটের ময়লা পরিস্কার করতে হবে।
৮। ইগনিশন টাইমিং ঠিক করতে হবে।
৯। বোঝা কমাতে হবে।
সঠিক তৈলাক্তকরণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ গাড়ির রেডিয়েটর ভালো রাখার উপায়
---------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিনে বেশি জ্বালানি খরচ হচ্ছে।
কারণঃ
১। জ্বালানি সরবরাহ লাইনে ছিদ্র থাকলে।
২। কার্বুরেটর ঠিক মত টিউনিং করা হয়নি।
৩। ইনজেক্টর ত্রুটিপূর্ণ।
৪। ইঞ্জিনের যান্ত্রিক অবস্থা খারাপ।
৫। বায়ু ছাঁকনি ময়লা যুক্ত থাকলে।
৬। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে।
প্রতিকারঃ
১। মেরামত করতে হবে।
২। কার্বুরেটর সঠিক ভাবে টিউনিং করতে হবে।
৩। ইনজেক্টর মেরামত বা পরিবর্তন করতে হবে।
৪। মেরামত করতে হবে।
৫। পরিস্কার করতে হবে।
৬। ইঞ্জিন শীতল করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রধান কার্যকরী অংশসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন থেকে অস্বাভাবিক ধোঁয়া বের হওয়া।
কারণঃ
কালো ধোঁয়া বের হলেঃ-
১। ফুয়েল ইনজেক্টরটির পাম্প ত্রুটিপূর্ণ।
২। নজল ময়লাযুক্ত।
৩। অতিরিক্ত বোঝা হলে।
৪ । ভেজাল জ্বালানি ব্যবহার করলে।
৫। অপর্যাপ্ত বায়ু সরবরাহ।
৬। জ্বালানি সরবরাহ আগে বা পরে হলে ( আগে হলে কালো আর পরে হলে সাদা ধোঁয়া)।
প্রতিকারঃ
১। পাম্প মেরামত করতে হবে।
২। পরিস্কার করতে হবে।
৩। বোঝা কমাতে হবে বা কম গতিতে চালাতে হবে।
৪। জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে।
৫। বায়ু পরিস্কার পরিষ্কার করতে হবে।
৬। এডজাষ্ট করতে হবে।
সাদা ধোঁয়া বের হলেঃ -
১ । ইঞ্জিন অতিরিক্ত শীতল হলে।
২। সংকোচন চাপ অপর্যাপ্ত হলে।
৩। জ্বালানির সাথে পানি মিশলে।
প্রতিকারঃ
১। গরম করতে হবে।
২। ভাল্ভ পরিস্কার ও গ্রাইন্ড করতে হবে।
৩। টেপেট ক্লিয়ারেন্স এডজাষ্ট করতে হবে।
৪। সিলিন্ডার হেড গ্যাসকেট বদলাতে হবে।
৫। ক্ষয় হয়ে যাওয়া পিষ্টন রিং বদলাতে হবে।
৩। জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে।
নীল ধুয়া বের হলেঃ-
১। ক্র্যাংক শ্যাফ্টে অতিরিক্ত তেল।
২। তেল পাতলা।
৩। পিস্টন বা পিস্টন রিং বা লাইনারের স্থানচ্যুতি।
প্রতিকারঃ
১) অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে হবে।
২। তেল পরিবর্তন করতে হবে।
৩। এডজাষ্ট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডিজেল ইঞ্জিন ও ডিজেল ইঞ্জিনের প্রধান কার্যকরী অংশসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
কারণঃ
১। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া।
২। জ্বালানি পাইপ বন্ধ।
৩। জ্বালানি সিস্টেমে বায়ু প্রবেশ করেছে।
৪ । জ্বালানি ছাঁকনী বন্ধ।
৫। ডিজেল ট্যাংকের ভেল্ট হোল বন্ধ
৬। জ্বালানিতে পানি রয়েছে।
৭ । পিষ্টন সিলিন্ডারে আটকে যাওয়া।
৮ । কানেকটিং রড বিয়ারিং বা মেইন বিয়ারিং আটকে যাওয়া।
৯। ক্যাম্প শ্যাফ্ট আটকে যাওয়া।
প্রতিকারঃ
১। ট্যাংকে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে।
২। পরিস্কার করতে হবে।
৩। বায়ু বের করতে হবে।
৪। পরিস্কার বা পরিবর্তন করতে হবে।
৫। পরিস্কার করতে হবে।
৬। চেক এবং পরিবর্তন করতে হবে।
৭। চেক ও পরিবর্তন করতে হবে।
৮। চেক ও পরিবর্তন করতে হবে।
৯। চেক ও পরিবর্তন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ যে লক্ষণে বুঝবেন গাড়ির ইঞ্জিন ভালো নেই
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
ইঞ্জিন কম্পিত হওয়া।
কারণঃ
১। ভিত্তির উপর ইঞ্জিন ঠিকমত স্থাপিত না হলে বা নাট বোল্ট ঢিলা থাকলে।
২। এক বা একাধিক ফুয়েল ইনজেক্টর অকার্যকর হলে।
৩। ভালভ ক্লিয়ারেন্স ঠিক না থাকলে।
৪ । সিলিন্ডার পিষ্টনের মধ্যে বেশি ফাঁক থাকলে।
৫। প্রধান এবং বিগ এন্ড বিয়ারিং ঢিলা।
৬। পিষ্টন, পিষ্ট পিন ও রিং এর পার্শ্বদেশ বেশি ক্ষয় প্রাপ্ত হলে।
৭। ক্র্যাংক শ্যাফ্ট ও কানেকটিং রড এলাইনমেন্টে ভুল হলে।
৮। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে।
প্রতিকারঃ
১। সঠিক ভাবে স্থাপন ও নাট এঁটে দিতে হবে।
২। চেক, প্রয়োজনে ধৌত বা পরিবর্তন করতে হবে।
৩। ভাল্ভ ক্লিয়ারেন্স এডজাষ্ট করতে হবে।
৪। এডজাষ্ট করতে হবে।
৫। এডজাষ্ট করতে হবে।
৬। ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ পরিবর্তন করতে হবে।
৭। এডজাষ্ট করতে হবে।
৮ । ইঞ্জিন শীতলীকরন করতে হবে।
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
অতিরিক্ত তেলের অপচয়।
কারণঃ
১। পাতলা বা খারাপ রকমের তেল।
২। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়া।
৩। গ্যাসকেট, বিয়ারিং ও অন্যান্য পথে তেলের অপচয়।
৪ । ক্র্যাংককেসে মাত্রাতিরিক্ত তেল থাকলে।
প্রতিকারঃ
১। পরিবর্তন করতে হবে।
২। ইঞ্জিন শীতল করতে হবে।
৩। অপচয় বন্ধ করতে হবে।
৪ । পরিমান মত তেল রাখতে হবে।
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
তেলের কম চাপ।
কারণঃ
১। তেলের পরিমাণ কম।
২। পাতলা তেল ব্যবহার।
৩। ওয়েল পাম্প ময়লাযুক্ত বা বন্ধ থাকা।
৪। তেল চাপের রিলিফ ভাল ত্রুটিযুক্ত থাকলে।
৫। ওয়েল পাম্পে বেশি ক্লিয়ারেন্স থাকলে।
৬। মেইন বা কানেকটিং রড বিয়ারিং এ বেশি ক্লিয়ারেন্স থাকা।
৭। প্রেসার গেজ পাইপে ত্রুটি বা ছিদ্র থাকা।
প্রতিকারঃ
১। পূরণ করা।
২। তেল পরিবর্তন করতে হবে।
৩। পরিস্কার করতে হবে।
৪ । নির্দেশানুযায়ী স্থাপন করা।
৫। পরিবর্তন করতে হবে।
৬। মেরামত করতে হবে।
৭। চেক করতে হবে।
--------------------------------------------------------------
ত্রুটিঃ
তেলের উচ্চ চাপ।
কারণঃ
১। ঘন গ্রেডের তেল ব্যবহার।
২। প্রেসার রিলিজ ভাল্ভ জ্যাম।
৩। তেলের গ্যালারী ময়লাযুক্ত।
৪। ওয়েল প্রেসার গেজ সঠিক না।
প্রতিকারঃ
১। পরিবর্তন করতে হবে।
২। নির্দেশনা অনুযায়ী এডজাস্ট করা।
৩। পরিস্কার করা।
৪ । মেরামত বা পরিবর্তন করতে হবে।
সারমর্মঃ একটি ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে নির্দিষ্ট সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। এছাড়া ও ইঞ্জিনে কোন সমস্যা দেখা দিলে উপযুক্ত কারণ খুঁজে বের করে তার সঠিক প্রতিকার করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনের মূল কর্মপদ্ধতি বা ইঞ্জিনের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা