রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

রাস্তায় নামছে নিত্যনতুন গাড়ি। এগুলোর ৯০ শতাংশই রিকন্ডিশন্ড। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এখন মধ্যবিত্তের নাগালে। যদিও টাকা জমিয়ে কেনা সাধের গাড়িটি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যখন গাড়ি কিনতে গিয়ে আপনি ঠকে যান। খুব কম মানুষই গাড়ি বিষয়ে অভিজ্ঞ। খুঁটিনাটি অনেক কিছুই আমরা জানি না। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন যে যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

ব্র্যান্ডঃ

কোন ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনবেন তা সবার আগে নির্দিষ্ট করে নিন। ব্র্যান্ড পছন্দের আগে যাচাই করুন এই ব্র্যান্ডের গাড়ির রিসেল ভ্যালু বা বিক্রয়োত্তর মূল্য কেমন, খুচরো পার্টস বাজারে সহজলভ্য আছে কি না। এ ক্ষেত্রে টয়োটা গাড়ির নাম চলে আসে সবার আগে। বাংলাদেশে টয়োটা গাড়ির পার্টস বেশ সহজলভ্য এবং এর রিসেল ভ্যালুও ভালো।

ইঞ্জিন মডেলঃ

ইঞ্জিন মডেল চিনতে ম্যানুফ্যাকচারিং বছর কত তা জেনে নিন। অর্থাৎ গাড়িটির প্রস্তুতকাল কবে। দেশে এর রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে কবে তাও জেনে নিন।

ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেমঃ

দুই ধরনের ইনজেকশন সিস্টেম রয়েছে- ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইনজেকশন এবং কার্বুরেটেড। কার্টুরেটেড সিস্টেম বেশ পুরনো। ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম আধুনিক হওয়ায় এটি আছে কি না নিশ্চিত হোন।

ইগনিশন সিস্টেমঃ

ফুয়েল ইকোনমি বা জ্বালানি সাশ্রয় চাইলে ইগনিশন সিস্টেম বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির ইঞ্জিনে যে পরিমাণ তেল প্রবেশ করে তার অনেকটাই থেকে যায় অব্যবহৃত। এ বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করে ইগনিশন সিস্টেমের ওপর। বাজারে সাধারণত চার ধরনের ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে। এগুলো হলো- ইন্টেগ্রেটেড ইগনিশন এসেম্বলি, কনভেনশনাল, ট্রানসিসটোরাইজড, ডিস্ট্রিবিউশনলেস ইগনিশন সিস্টেম, ডাইরেক্ট ইগনিশন। প্রথমটি বেশ পুরনো গাড়িতে দেখা যায়। শেষের দুটি আধুনিক প্রযুক্তি এবং বেশ ভালো।

গিয়ার ট্রান্সমিশনঃ

অটোগিয়ার গাড়ি বেশ জনপ্রিয়। নিজে গাড়ি ড্রাইভ করলে অটোগিয়ার গাড়ি দেবে নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণের নিশ্চয়তা। রেসিং গাড়ি তথা যারা গতিতে বিশ্বাসী তাদের জন্য ম্যানুয়াল গিয়ার। ম্যানুয়াল গাড়িতে খুব দ্রুত গিয়ার পরিবর্তন করা যায়।

পুরনো গাড়ি কিনে ঠকছেন কি?

মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে দুর্ঘটনা বা এক্সিডেন্টের শিকার গাড়ি কেনা কারোরই কাম্য নয়। আর তা যদি হয় মুখোমুখি এক্সিডেন্ট। অধিকাংশ সময় বডি শপগুলোতে অরিজিনাল পার্টসের বদলে কম দামের পার্ট দিয়ে বডি নির্মাণ করে থাকে, এতে গাড়ির ইন্টেগ্রিটি হারায় এবং গাড়ির বডি আগের মতো শক্তিশালী থাকে না। মুখোমুখি এক্সিডেন্টে অনেক সময় গাড়ির এসি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়াও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে অনেক যান্ত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, যেমন মিসএলাইনমেন্ট, হুইল বিয়ারিং ড্যামেজ ইত্যাদি।

গাড়িতে নতুন রঙ করা হলে তা কখনোই অরিজিনাল রঙের মতো দৃষ্টিনন্দন থাকে না। বাজারে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির রিকন্ডিশন্ড ভার্সন যখন কিনতে যাবেন, লক্ষ্য করবেন যে তার অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে দুঘর্টনার শিকার হয়ে থাকে। প্রায় প্রত্যেক বিক্রেতাই এ বিষয়টি আপনার কাছে গোপন রাখবে। পুরনো গাড়ি কেনার আগে তাই প্রয়োজন একটু সতর্কতা এবং গাড়ি বিষয়ে কিছু মৌলিক জ্ঞান।

যেকোনো গাড়ির প্রকৃত অবস্থা বুঝতে আপনাকে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করলেই মান যাচাই করা সহজ হয়ে যাবে।

গাড়ির বডি চেকঃ

গাড়ি চেক করার প্রথম ধাপে গাড়ির বহির্ভাগ অর্থাৎ গাড়ির বডি চেক করে দেখতে হবে এক্সিডেন্টের কোনো আলামত পাওয়া যায় কি না।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

একপাশ থেকে গাড়ির বড়ির দিকে তাকান। বডি সরল লাইনে আছে কি না দেখুন। বডিতে অন্য কিছুর প্রতিফলন দেখার চেষ্টা করুন। প্রতিফলনচিত্রটি যদি আঁকাবাঁকা হয়, তবে বুঝতে হবে গাড়িটি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

অন্য সব বিষয় ঠিক থাকলে এটি অবশ্য কোনো বড় সমস্যা নয়। তবে এ বিষয়টিকে বিক্রেতার নজরে দিয়ে মূল্য কিছুটা হলেও কমিয়ে নিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

গাড়ির প্রতিটি গ্যাপ সমান থাকে। ছবির গ্যাপটি লক্ষ্য করুন।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

উপরের দিকে গ্যাপটি নিচের দিকের চেয়ে চওড়া বেশি। গাড়িটি সামনের ডানদিকে কোনোভাবে আঘাত পাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছিল। এমনভাবে প্রতিটি গ্যাপ লক্ষ্য করুন। একপাশের গ্যাপের সঙ্গে অন্যপাশের গ্যাপ তুলনা করে দেখুন। কোনো অংশে গ্যাপ যদি ছোট-বড় হয় তবে বুঝতে হবে গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল।

গাড়িটিকে সম্প্রতি রঙ করা হয়েছে কি না লক্ষ্য করুন। যদি কোনো অংশে রঙের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তবে তা রিপেয়ারজনিত কারণে।

অল পাওয়ার ট্রান্সমিশনঃ

গাড়ির সামনে কন্ট্রোল বোর্ডের মাধ্যমে ড্রাইভারের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে। ড্রাইভিং সিটে বসে দরজা লক, গ্লাস নামানো-ওঠানো সবই করা যাবে। স্টিয়ারিং যদি পাওয়ারড না হয় তবে তা ঘোরাতে হবে গায়ের জোরে যা বেশ কষ্টসাধ্য। বড় বড় গাড়ি, লরি এবং ট্রাকে এ সমস্যাটি দেখা যায়। গাড়ি ঘোরাতে ড্রাইভারকে স্টিয়ারিং নিয়ে বেশ কসরত করতে দেখা যায়।

ইঞ্জিন সিসিঃ

ইঞ্জিন সিসি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রাইভেট কারের জন্য ১৩০০ থেকে ১৫০০ সিসির গাড়ি বেশ ভালো। সিসি কম হলে গাড়ির লোড নেয়ার ক্ষমতা কম হয়। এ ক্ষেত্রে ৫ সিটের গাড়িতে ৬ জন কিংবা তারও বেশি লোক উঠলে, বেশি ওজন নিলে সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। আবার সিসি বেশি হলে গাড়ির লোড নেয়ার ক্ষমতা যেমন বাড়ে, পাশাপাশি তেল খরচ হয় বেশি অর্থাৎ ফুয়েল ইকোনমি নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিন কোনটি বেশি জরুরি।

সংক্ষিপ্ত চেক লিস্টঃ-

ইঞ্জিনে নকিং (knocking): ইঞ্জিনে নকিং (অস্বাভাবিকভাবে কাঁপে) হয় কি না চেক করুন।

অডোমিটারঃ গাড়ি এ পর্যন্ত কত মাইল চলেছে তা জানা যায় অডোমিটার থেকে। তবে এর ওপর পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়।

একটি জরিপে দেখা গেছে, রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ৯০ শতাংশের অডোমিটারই পরিবর্তন করা হয়েছে। এর প্লাগ খুলে এটিকে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করা যায় বিধায় অডোমিটার দেখে গাড়ি কম মাইল চলেছে, মনে করবেন না।

কি.মি/লিটার গাড়ি প্রতি লিটার তেলে কত কিলোমিটার যায় তা জেনে নিন। এসি গ্যাস: এসি গ্যাসের পরিমাণ জেনে নিন।

ফুয়েল কনজাম্পশনঃ 

গাড়িটি যদি সিএনজি করা না হয় তবে গাড়ির ফুয়েল কনজাম্পশন বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমন প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায় যে, গাড়ি বেশ তেল খায়।

কিভাবে বুঝবেন যে গাড়িটি প্রয়োজনাতিরিক্ত তেল পোড়ায় কি না?

ফুয়েল ট্যাঙ্কে ডিপস্টিক ঢুকিয়ে দিন, বের করে মুছে আবারও প্রবেশ করান। ডিপস্টিকটি বের করে যদি দেখেন তেল পুরোপুরি কালো এবং তেলের লেভেল অনেক নিচে, তবে গাড়িটি অধিক তেল পোড়ায় এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে করা হয়নি। এ ধরনের গাড়ির ইঞ্জিন ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। ভালো ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে অয়েল লেভেল পুরোপুরি থাকে এবং তেলটিও পরিষ্কার দেখায়।

তেল লিক হয়ঃ

গাড়ির ইঞ্জিনটি চকচকে হলেই যে তা ভালো হবে এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। বিক্রেতারা অনেক সময় ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে করে ইঞ্জিনটিকে প্রায় নতুন করে তোলে। এ ক্ষেত্রে গাড়ির নিচে টর্চলাইট দিয়ে লক্ষ্য করুন তেল লিক হয় কি না। তেল লিক হলে পার্কিং স্থানে কিছুটা তেল পড়ে থাকতে দেখা যাবেই।

আরও পড়ুনঃ গাড়িতে কোন ধরণের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা বেশি কার্যকরী?

রেডিয়েটরঃ

ওভার ফ্লো ট্যাঙ্ক বা রেডিয়েটরের এন্টিফ্রিজ লেভেল দেখুন। মনে রাখবেন, ইঞ্জিন গরম থাকা অবস্থায় কখনোই রেডিয়েটরের মুখ খুলবেন না। এন্টিফ্রিজ লেভেলটি min এবং max মার্কের মাঝেই থাকার কথা। এন্টিফ্রিজে বিন্দু পরিমাণ ইঞ্জিন অয়েল থাকবে না। এটি হবে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ। রেডিয়েটরের এন্টিফ্রিজ তরলটি সবুজ, লাল, নীল, কমলা কিংবা হলুদ রঙের হতে পারে।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

যদি এন্টিফ্রিজের মধ্যে কোনো ইঞ্জিন অয়েলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, তবে এটি দুর্ঘটনা কিংবা রেডিয়েটরের সমস্যা। রেডিয়েটরটি ড্যামেজ কি না লক্ষ্য করুন।

রেডিয়েটরের আপার ও লোয়ার ট্যাঙ্ক ঠিক আছে কি না দেখে নিন। ট্যাঙ্ক সাধারণত প্লাস্টিক ফাইবারের হয়ে থাকে। এক্সিডেন্টের পর ওয়ার্কশপে সাধারণত পিতলের ট্যাঙ্ক লাগানো হয়ে থাকে। এটি সহজেই গরম হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ গাড়ির রেডিয়েটর ভালো রাখার উপায়

গাড়ির কালো ধোঁয়াঃ

ইঞ্জিন চালু করুন। ৫-১০ মিনিট ইঞ্জিনটি আইডল রাখুন। এবার কাউকে বলুন একটু একটু করে এক্সেলেটরে চাপ দিতে। যদি পেছন দিক দিয়ে নীল কিংবা ধূসর ধোয়া দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে ইঞ্জিনটি অধিক তেল পোড়ায়। এ ধরনের গাড়ি পরিহার করুন। আর যদি কালো ধোঁয়া বের হয়, তবে এ ইঞ্জিন অতিরিক্ত পরিমাণে তেল পোড়াবে এবং এর ফুয়েল ইঞ্জেকশনেও সমস্যা রয়েছে। সাধারণত কোনো ধোঁয়াই থাকার কথা নয়। তবে ডিজেল ইঞ্জিনে শুরুর দিকে একটু কালো ধোঁয়া বের হওয়া স্বাভাবিক।

এয়ারকন্ডিশনারঃ

এয়ারকন্ডিশনারের সুইচ অন করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এর ভেন্টিলেশন আউটলেট দিয়ে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে। এটি অন অবস্থায় কোনো শব্দ হবে না। যদি বাতাস ঠান্ডা না হয় তাহলে বুঝতে হবে এসি কাজ করছে না। সাধারণত মুখোমুখি এক্সিডেন্টে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসি সিস্টেম। এ ধরনের গাড়ি না কেনাই ভালো। গাড়ির এসি সিঙ্গেল না ডুয়েল লক্ষ্য করুন। ডুয়েল হলে বেশি তেল পোড়াবে।

গিয়ার চেকঃ

প্রতিটি গিয়ারে গাড়ি ড্রাইভ করেই বুঝতে পারবেন গিয়ারে কোনো সমস্যা আছে কি না। গিয়ারের পরিবর্তন হবে বেশ স্মথ এবং এ সময় কোনো রকম ঝাঁকুনি কিংবা শব্দ হবে না। সেকেন্ড কিংবা থার্ড গিয়ারে থাকাকালীন হঠাৎ এক্সিলারেশন চেপে গতি বাড়াতে চেষ্টা করে দেখুন। 

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন
ভালো অবস্থায়

যদি এমন হয় যে গাড়ির ইঞ্জিন আরপিএম বেড়েছে কিন্তু গতি একই আছে, তবে ক্লাচ বদল করতে হবে। এক্সিলারেশন এবং ডিসিলারেশন কিংবা রিভার্স মোডে ড্রাইভ করে দেখুন কোনো রকম নয়েজ সৃষ্টি হচ্ছে কি না।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন
খারাপ অবস্থায়

আরও পড়ুনঃ গিয়ার কাকে বলে? গিয়ার কত প্রকার ও কি কি? গিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

সিভি জয়েন্টঃ

সিভি জয়েন্টের সমস্যা বুঝতে গাড়ির স্টিয়ারিং ডানে-বাঁয়ে ঘোরান। যদি ঘোরানোর সময় কোনো কটকট শব্দ হয়, তবে সিভি জয়েন্টে সমস্যা আছে।

সাসপেনশন সিস্টেমঃ

উঁচুনিচু রাস্তায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে প্রয়োজন ভালো সাসপেনশন সিস্টেম। এ ক্ষেত্রে টেস্ট ড্রাইভে ভাঙাচোরা কোনো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে সাসপেনশন সিস্টেমের প্রকৃতি বুঝতে পারবেন। আবার গাড়ির সামনে-পেছনে হাত দিয়ে জোর করে দাবিয়ে লক্ষ্য করতে পারেন কোথাও কটমট শব্দ হচ্ছে কি না।

পাওয়ার স্টিয়ারিং বক্সঃ

পাওয়ার স্টিয়ারিং বক্সে লিক আছে কি না লক্ষ্য করুন। স্টার্ট দিয়ে স্টিয়ারিং ডানে-বাঁয়ে ঘুরিয়ে দেখুন নিচে ফোঁটায় ফোঁটায় পাওয়ার ফ্লুয়িড পড়ে কি না।

হাই টেনশন লিড লিক আছে কি না চেক করুন। এজন্য ইঞ্জিন চালিয়ে গাড়ির বনেট খুলে চারটি লিড একটি একটি করে টেনে বের করে দেখুন স্পার্ক হয় কি না। স্পার্ক বেশি হলে লিক আছে।

টায়ারঃ

গাড়ির প্রতিটি টায়ার ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। টায়ারের অবস্থা খারাপ হলে পরে নিজের টাকা খরচ করে নতুন টায়ার কিনতে হতে পারে।

শক এবজর্বারঃ

শক এবজর্বারে চাপ দিলে সামনে-পেছনে দেবে যায় কি না। যদি দেবে না যায় তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে।

কালারঃ

গাড়ির বনেট এবং পেছনের মালপত্র রাখার স্থান খুলে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন নতুন রঙ করা হয়েছে কি না।

আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিন শীতলীকরণ পদ্ধতি বা ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url