সাইবার সিকিউরিটি কি? সাইবার সিকিউরিটি কত প্রকার ও কি কি?
সাইবার সিকিউরিটি কি?
ইন্টারনেটে হ্যাকিং বা ম্যালওয়ার অ্যাটাক থেকে বাঁচতে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেগুলোই সাইবার সিকিউরিটির মধ্যে পড়ে।
কম্পিউটার বা ফোনের সিস্টেমে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে একজন ব্যবহারকারী কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার বিবরণ দেওয়া হলো:
ভালনারিবিলিটি (Vulnerability):
এই শব্দটি উচ্চারণ করাটা কিছুটা কঠিন হলেও এর মানে খুব সহজ। যখন কোন সিস্টেম বা ওয়েবসাইটের ডিজাইন, কোড, কমিপউটার, সার্ভারে কোন সমস্যা বা দূর্বলতা থাকে তখন তাকে ভালনারবিলিটি বলে। হ্যাকাররা এই ধরনের কিছু পেলে কম্পিউটার সিস্টেমকে অ্যাটাক করে। তাই আপনি যদি আপনার কম্পিউটার বা ওয়েবসাইটকে এই অ্যাটাক থেকে বাঁচাতে চান তবে আপনাকে এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। অর্থাৎ আপনার সিস্টেমে কি ধরনের সমস্যা আছে তা জানতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কম্পিউটারে আপডেটেড এন্টিভাইরাস এপ্লিকেশন ইন্সটল করতে হবে। অনাকাঙ্খিত এপ্লিকেশন থেকে বিরত থাকতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করতে হবে।
চিত্রঃ কম্পিউটার সিস্টেম ভালনারবিলিটিও প্রতীকি চিত্র |
ব্যাকডোর (Backdoor):
ঘরের পিছনের দরজা যেমন ব্যাকডোর তেমনি আপনার কম্পিউটার সিস্টেমের কোথাও যদি এরকম গোপন কোন দরজা থাকে তাহলে সেটাই ব্যাকডোর। বিভিন্ন ফ্রী সফটওয়্যারে এরকম ব্যাকডোর অনেক সময় দেখা যায়। তাই ফ্রী সফটওয়ার ব্যবহারে সাবধান হোন কেননা এই ধরনের ব্যাকডোর ব্যবহার করেই হ্যাকার আপনার কম্পিউটারের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারে। এই সমস্যারোধে আপডেটেড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হয়। ফ্রী সফটওয়ার ইন্সটল করার পূর্বে সফটওয়ারটির নির্ভরতা যাচাই করতে হবে।
চিত্রঃ কম্পিউটার সিস্টেমের ব্যাকডোরের প্রতীকিচিত্র |
ডিরেক্ট অ্যাক্সেস অ্যাটাক (Direct Access Atack):
আপনার কম্পিউটারে যদি কারো ফিজিক্যাল অ্যাক্সেস থাকে অর্থাৎ কেউ যদি আপনার কম্পিউটারে তার কম্পিউটার থেকে প্রবেশ করতে পারে তাহলে সে অনায়াসেই আপনার কম্পিউটার থেকে ডাটা কপি করে নিতে পারে যা আপনি জানতেও পারবেন না। তাই আপনার কম্পিউটারে যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে তবে সেগুলো এনক্রিপ্ট করে রাখুন এবং ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। সেই সাথে সবাই যেন আপনার পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করুন।
চিত্রঃ কম্পিউটার সিস্টেম এ ডিরেক্ট এক্সেস এর প্রতীকী চিত্র |
ফিশিং (Fishing):
যখন বড়শি দিয়ে মাছ ধরা হয় তখন মাছের জন্য টোপ হিসেবে ছোট মাছ বা খাবার ব্যবহার করা হয়। আর মাছ না বুঝেই সেই টোপ গিলদেই আর বড়শিতে ধরা পরে। এভাবে ইন্টারনেটে প্রতারনা করার জন্য অনেক সময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
ধরুন কেউ আপনাকে একটি লিঙ্ক দিল। আপনি কিছু চিন্তা না করেই সেই লিঙ্গে ঢুকে দেখলেন ওয়েবসাইটটি পুরো ফেসবুক এর মত। আপনি কিছু না চিন্তা করেই সেখানে আপনার ইমেইল আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে গেলেন এবং আপনি যখনই আপনার ইমেইল আর পাসওয়ার্ড দিবেন সাথে সাথে সেই ইমেইল আর পাসওয়ার্ড যেই হ্যাকার ওয়েবসাইটটি বানিয়েছে তার কাছে চলে যাবে। তাই সে চাইলেই আপনার অ্যাকাউন্ট দখল করে নিতে পারে। এই ধরনের সমস্যারোধে যেকোন লিঙ্কে প্রবেশের পূর্বে দেখে নিতে হবে সেই লিঙ্কটি সঠিক কিনা। অর্থাৎ লিঙ্কটির ঠিকানা উক্ত ওয়েবসাইটের প্রকৃত লিংক কিনা।
চিত্রঃ ফেক ওয়েবসাইটের URL পরীক্ষার মাধ্যমে ফিশিং চিহ্নিতকরণ |
স্কাম (Scam) বা ফ্রড (Fraud) ইমেইল:
অনেক সময় ইমেইল ইনবক্সে অনাকাঙ্খিত ব্যক্তির মেইল আসে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কারের মাধ্যমে প্রলুদ্ধ করা হয়ে থাকে বাক্তিগত তথ্য প্রদানের জন্য। যেমন ধরুন সুইস ব্যাংক থেকে একটি মেইল আসলো যে আপনি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন। উক্ত টাকা আপনার ব্যাংকে ট্রান্সফার করার জন্য অপনার ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে বলা হতে পারে। কিংবা আপনাকে বলা হতে পারে তাদের একটি একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য। এই ধরনের ইমেইল আপনাকে প্রতারিত করতে পাঠানো হয়।
অনেক সময় হ্যাকাররা আপনার পরিচিত মানুষের একাউন্ট হ্যাক করে আপনাকে ইমেইল পাঠাতে পারে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য। এইসব ইমেইলই হলো স্কাম বা ফ্রড মেইল। এইসব মেইল থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং মেইলটিকে স্পাম হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
চিত্রঃ একটি স্বাম বা ফ্লড ইমেইলের নমুনা |
ম্যালওয্যার:
ম্যালওয্যার (Malware) হল ইংরেজি malicious software (ক্ষতিকর সফটওম্যার) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি হল একজাতীয় সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার এর স্বাভাবিক কাজকে ব্যহত করতে, গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে, কোনো সংরক্ষিত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে বা অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন দেখাতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার রয়েছে।
যেমন- DarkHotel, Astaroth, RYUK, Stuxnet, Emotet, Fireball, Echobot, Olympic Vision, Zacinlo, WhisperGate, Triada, Kovter, d. link. WannaCry ইত্যাদি।
KasperSky Lap কর্তৃক সর্বাধিক ব্যবহৃত ম্যালওয়ারগুলো হলো-
ভাইরাস:
কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে। মেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটির কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে। একটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যেমন: কোন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে একটি নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাতে পারে বা কোন বহনযোগ্য মাধ্যম যথা ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, পেন-ড্রাইভ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
এছাড়াও ভাইরাসসমূহ কোন নেটওয়ার্ক ফাইল সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে, যার ফলে অন্যান্য কম্পিউটার যা ঐ সিস্টেমটি ব্যবহার করে সেগুলো আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসকে কখনো কম্পিউটার ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্সেস এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। ট্রোজান হর্স হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড হবার আগ পর্যন্ত ক্ষতিহীন থাকে। কিছু ভাইরাসের নাম হলো Conficker, ILOVEYOU, Morris Worm, Mydoom, Stuxnet, CryptoLocker, Storm Worm, SQL Slammer, Tinba, Brain ইত্যাদি।
র্যানসামওয়্যার:
হঠাৎ কম্পিউটার খুলে বা কোনও অচেনা ইমেলে ক্লিক করে দেখলেন, আপনার কম্পিউটারে একটি বহু মেসেজ চলে এলো আর আপনি কোনও সিস্টেম ফাইল খুলতে পারছেন না বা আপনার ডেস্কটপে কোনও অ্যাপ বা ফাইল খুলতে পারছেন না। অপারেটিং সিস্টেম কাজ করছে না। আর মেসেজে লেখা রয়েছে, আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিন তবেই আপনি আবার ফাইলগুলো খুলতে পারবেন। এভাবেই র্যানসামওয়্যার নামে একটি মারাত্মক ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে, হামলা চালাচ্ছে বিভিন্ন কম্পিউটারে। একটি কম্পিউটার থেকে একই নেটওয়ার্কের অন্য মেশিনেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। Ransomware এর একটি উইন্ডো হলো-
হ্যাকিং:
হ্যাকিং হচ্ছে কারো কম্পিউটারে বা কম্পিউটেরের নেটওয়ার্কে অবৈধ অনুপ্রবেশ। আমরা হ্যাকিং বলতে বুঝি ওয়েবসাইট হ্যাকিং। কিন্তু না হ্যাকিং শুধু ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। হ্যাকিং হতে পারে কারো পার্সোনাল কম্পিউটার, ওয়েব সার্ভার, মোবাইল ফোন, লান্ড ফোন, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আরো কত কি!! হ্যাকাররা সাধারনত এসব যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কের ত্রুটি বের করে। এরপর সেই ত্রুটি ব্যবহার করেই হ্যাক করে করে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাল প্রোগ্রামিং জ্ঞান ব্যবহার করে বা নিজের তৈরী প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হ্যাক করে থাকে।
সাইবার অ্যাটাক:
সাইবার অ্যাটাক হল একধরনের প্রচেষ্টা যার মাধ্যমে কম্পিউটারের তথ্য, সফটওয়ার, ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তা ধ্বংস, নষ্ট কিংবা চুরি করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সাইবার অ্যাটাক রয়েছে। যেমন- কুকি স্টিলিং, সেশন হাইজ্যাকিং।
সেশন হাইজ্যাকিংঃ
সেশন হাইজ্যাকিং একধরনের সাইবার অ্যাটাক যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটের সেশন চুরি করে ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা যায়। হ্যাকাররা এসব তথ্য চুরি করে একটি ওয়েবসাইটকে নষ্ট করে দিতে পারে।
কুকি স্টিলিং:
ইংরেজি ভাষার বুঝি (Cookies) বলতে বিস্কিট বুঝালেও কম্পিউটারের ভাষায় কুকি হলো ব্রাউজারে সংরক্ষিত ওয়েবসাইটের ইউজারের তথ্য। কুকি স্টিলিং একধরনের সাইবার অ্যাটাক যার মাধ্যেমে কোন ওয়েবসাইটের কুকি (যা ব্রাউজারে সংরক্ষিত থাকে) চুরি করে ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা যায়। হ্যাকাররা এসব তথ্য চুরি করে একটি ওয়েবসাইটকে নষ্ট করে দিতে পারে কিংবা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ভাঙতে পারে।
কিভাবে সাইবার আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন?
সাইবার আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু টিপস:
সাধারণ সতর্কতা:
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার সমস্ত অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
টু-ফেক্টর যাচাইকরণ (2FA) চালু করুন: যখনই সম্ভব 2FA চালু করুন। এটি আপনার অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত স্তরের নিরাপত্তা যোগ করে।
আপনার সফ্টওয়্যার আপডেট রাখুন: সর্বশেষ নিরাপত্তা প্যাচ এবং আপডেট ইনস্টল করে আপনার সফ্টওয়্যার আপডেট রাখুন।
এন্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন: আপনার কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ইনস্টল করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
সন্দেহজনক ইমেইল এবং লিঙ্ক এড়িয়ে চলুন: অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসা ইমেইল খুলবেন না বা তাদের লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
Wifi: অন্যের Wifi ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন।
ব্যক্তিগত তথ্যঃ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকুন।
ডেটা ব্যাকআপঃ নিয়মিত আপনার ডেটা ব্যাকআপ নিন।
ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য:
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার করা পোস্টগুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- ফাইল শেয়ারিং সাইট ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন।
- আপনার ডিভাইসগুলি লক করে রাখুন সিকিউরিটির জন্য।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য:
- কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলুন প্রয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট নিয়োগ দিন।
- আপনার নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখুন।
- ডেটা অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করুন।
- একটি ঘটনার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা তৈরি করুন।
সাইবার আক্রমণের শিকার হলে কি করা উচিত?
- সাইবার আক্রমণের শিকার হলে তৎক্ষনাৎ আপনার ডিভাইসটি ইন্টারনেট কানেকশন থেকে বিচ্ছিন্ন করুন।
- আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
- আপনার ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে জানান।
- আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করুন।
সাইবার সিকিউরিটির প্রয়োজনীয়তা কি?
ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করার জন্য:
সাইবার আক্রমণকারীরা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, এবং ক্রেডিট কার্ড নম্বর। এই তথ্যটি পরিচয়ের চুরি, আর্থিক ক্ষতি, এবং অন্যান্য গুরুতর সমস্যার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
আর্থিক ক্ষতি রোধ করার জন্য:
সাইবার অপরাধীরা অনলাইনে অর্থ চুরি করতে পারে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে, এবং ransomware আক্রমণ করতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা এই ধরনের আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য:
সাইবার অপরাধীরা ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ছবি, এবং অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য চুরি করতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা এই তথ্য গোপন রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবসার কার্যক্রম রক্ষা করার জন্য:
সাইবার আক্রমণ ব্যবসার কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে, ডেটা ধ্বংস করতে পারে, এবং আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা ব্যবসাকে এই ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য:
সাইবার অপরাধীরা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা, আক্রমণ করতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা এই ধরনের আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সাইবার সিকিউরিটি একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তি, ব্যবসা, এবং সরকার সকলেরই তাদের ডেটা এবং সিস্টেমগুলিকে রক্ষা করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি? কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি
সাইবার সিকিউরিটি কত প্রকার ও কি কি?
সাইবার নিরাপত্তার প্রকারভেদ:
সাইবার নিরাপত্তা বিভিন্ন ধরনের হুমকি এবং ঝুঁকি থেকে ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন, নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেমকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত।
প্রধান প্রকারভেদগুলি হল:
১) প্রতিরোধ:
- ফায়ারওয়াল: অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে নেটওয়ার্ক রক্ষা করে।
- অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার: ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এবং অন্যান্য ম্যালিসিয়াস সফ্টওয়্যার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- ইনট্রুশন ডিটেকশন এবং প্রিভেনশন সিস্টেম (IDS/IPS): অননুমোদিত কার্যকলাপ সনাক্ত করে এবং প্রতিরোধ করে।
- পাসওয়ার্ড নীতি: শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার নিশ্চিত করে।
- সচেতনতা প্রশিক্ষণ: কর্মীদের সাইবার হুমকি সম্পর্কে শিক্ষিত করে তলা।
২) সনাক্তকরণ:
- লগ মনিটরিং: সিস্টেম কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ সনাক্ত করা।
- নেটওয়ার্ক ট্রাফিক অ্যানালাইসিস: নেটওয়ার্ক ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ করে এবং সন্দেহজনক ট্র্যাফিক সনাক্ত করা।
- ভালনারেবিলিটি টেস্টিং: সিস্টেমের দুর্বলতা সনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করা হয়।
৩) প্রতিক্রিয়া:
- ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান: সিস্টেম ব্যর্থতার পর পুনরুদ্ধারের জন্য একটি পরিকল্পনা করা।
- ইনসিডেন্ট রিস্পন্স প্ল্যান: সাইবার হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি পরিকল্পনা করা।
- ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন: সাইবার হামলার উৎস এবং কারণ নির্ধারণ করা।
৪) ডেটা সুরক্ষা:
- এনক্রিপশন: ডেটা গোপন রাখে যাতে অননুমোদিত ব্যবহারকারীরা এটি অ্যাক্সেস বা পড়তে না পারে।
- অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: কে ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে এবং কীভাবে ব্যবহার করতে পারে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
- ডেটা লস প্রিভেনশন (DLP): সংবেদনশীল ডেটা অননুমোদিতভাবে অ্যাক্সেস, ব্যবহার বা প্রকাশ করা থেকে রক্ষা করে।
৫) অপারেশনাল সিকিউরিটি:
- সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন: সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি সুরক্ষিত রাখার জন্য নীতি এবং প্রক্রিয়াগুলি পরিচালনা করে।
- প্যাচ ম্যানেজমেন্ট: সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে নিরাপত্তা দুর্বলতাগুলি ঠিক করার জন্য আপডেট ইনস্টল করে।
- ভালনারেবিলিটি ম্যানেজমেন্ট: সিস্টেম ব্যর্থতার ঝুঁকি কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
সাইবার নিরাপত্তার ব্যবহারের ক্ষেত্র:
সাইবার নিরাপত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্র ব্যাপক এবং ক্রমবর্ধমান। ব্যক্তি, ব্যবসা, সরকার এবং অন্যান্য সংস্থা তাদের ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন, নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেমগুলিকে সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করতে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবহার করে।
কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:
ব্যক্তি:
- ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা: সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং অন্যান্য সংবেদনশীল ডেটা অনলাইনে হ্যাকিং এবং চুরি থেকে রক্ষা করে।
- অনলাইন ব্যাংকিং এবং কেনাকাটা নিরাপদ রাখা: ফিশিং স্ক্যাম এবং অন্যান্য সাইবার অপরাধ থেকে আর্থিক লেনদেন রক্ষা করে।
- ডিভাইস এবং ডেটা ব্যাকআপ করা: ডেটা হারানো বা চুরি হওয়ার ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধারের বিকল্প প্রদান করে।
ব্যবসা:
- গ্রাহক ডেটা রক্ষা: গ্রাহক তথ্য লঙ্ঘন থেকে ব্যবসা রক্ষা করে যা আর্থিক ক্ষতি এবং খ্যাতির ক্ষতি করতে পারে।
- ব্যবসায়িক গোপনীয়তা রক্ষা: প্রতিযোগীদের দ্বারা বাণিজ্যিক গোপনীয়তা চুরি করা থেকে রক্ষা করে।
- ব্যবসায়িক অপারেশন সুরক্ষিত রাখা: সাইবার হামলা থেকে ব্যবসায়িক অপারেশনকে বিঘ্নিত বা বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করে যা আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সরকার:
- জাতীয় পরিকাঠামো রক্ষা: বিদ্যুৎ গ্রিড, পরিবহন ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করে।
- সরকারী ডেটা রক্ষা: সামরিক গোপনীয়তা এবং নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সহ সরকারী ডেটা চুরি বা ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করে।
- সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই: অনলাইনে সংঘটিত অপরাধ তদন্ত এবং প্রসিকিউশন করে।
অন্যান্য সংস্থা:
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শিক্ষার্থীদের ডেটা এবং শিক্ষাগত সংস্থান রক্ষা করে।
- স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান: রোগীর রেকর্ড এবং অন্যান্য সংবেদনশীল স্বাস্থ্যসেবা ডেটা রক্ষা করে।
- অলাভজনক সংস্থা: দাতাদের তথ্য এবং আর্থিক সম্পদ রক্ষা করে।
উল্লেখ্য যে, এটি একটি সম্পূর্ণ তালিকা নয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে সাইবার নিরাপত্তার ব্যবহারের ক্ষেত্রও ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।
সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব:
আজকের ডিজিটাল যুগে, সাইবার নিরাপত্তা ব্যক্তি, ব্যবসা এবং সমাজের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেটের উপর আমাদের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা আমাদেরকে সাইবার হুমকির জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
সাইবার নিরাপত্তার কিছু গুরুত্ব নিচে দেওয়া হলো:
- আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করে: সাইবার অপরাধীরা আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং অন্যান্য সংবেদনশীল ডেটা চুরি করতে পারে। এই তথ্যটি পরিচয় চুরি এবং অন্যান্য আর্থিক অপরাধের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের এই ডেটাটিকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- আমাদের আর্থিক লেনদেন রক্ষা করে: অনলাইনে ব্যাংকিং এবং কেনাকাটা করার সময় আমরা সাইবার হামলার শিকার হতে পারি। সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের আর্থিক লেনদেনকে ফিশিং স্ক্যাম এবং অন্যান্য অনলাইন হুমকি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- আমাদের ব্যবসাগুলিকে রক্ষা করে: সাইবার হামলা ব্যবসার জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এগুলি ডেটা লঙ্ঘন, পরিষেবা ব্যাঘাত এবং আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবসাগুলিকে এই হুমকি থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন এবং নেটওয়ার্কগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
- আমাদের জাতীয় পরিকাঠামো রক্ষা করে: সরকার বিদ্যুৎ গ্রিড, পরিবহন ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে। এই সিস্টেমগুলি সাইবার হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, যা বিস্তৃত ব্যাঘাত এবং এমনকি জীবনহানির কারণ হতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এই গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোকে রক্ষা করতে এবং আমাদের দেশকে সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
সাইবার নিরাপত্তা হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য, আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন:
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত পরিবর্তন করুন।
- আপনার সফ্টওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আপডেট ইনস্টল করুন।
- অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন।
- আপনার অনলাইন কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে সতর্ক থাকুন।
- আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকুন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন:
সাইবার নিরাপত্তা আইন হলো এমন আইন যা ডিজিটাল তথ্য, সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কগুলিকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস, ব্যবহার, প্রকাশ, ব্যাঘাত, পরিবর্তন বা ধ্বংস থেকে রক্ষা করে। এই আইনগুলি ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক তথ্য, সরকারি তথ্য এবং ব্যবসায়িক গোপনীয়তা রক্ষা করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইন:
বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন রয়েছে:
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮: এই আইনটি অনলাইনে অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত এবং শাস্তি, ডিজিটাল অধিকার রক্ষা এবং ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বিধান করে।
- সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩: এই আইনটি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (BDCSA) গঠনের বিষয়ে বিধান করে, যার মূল কাজ হলো জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন, সাইবার হুমকি মোকাবেলা এবং সাইবার অপরাধ তদন্ত করা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান:
- অনলাইনে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা, অপপ্রচার, এবং ভুয়া খবর ছড়ানো অপরাধ।
- অনলাইনে নারীর প্রতি হয়রানি এবং সহিংসতা অপরাধ।
- সাইবার অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান।
- ডিজিটাল অধিকার রক্ষার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল গঠন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান:
- জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (BDCSA) গঠন।
- সরকারি ওয়েবসাইট এবং ডেটা সেন্টারগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- সাইবার অপরাধ তদন্ত এবং প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ক্ষমতা প্রদান।
- সাইবার অপরাধের শিকারদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিধান।
এই আইনগুলি এখনও বাস্তবায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই আইনগুলি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং জনগণের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল যুগে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক তথ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অপরিসীম।
সাইবার সিকিউরিটি ক্যারিয়ার
সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার:
সাইবার নিরাপত্তা একটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র যা বিভিন্ন ধরণের চাকরির সুযোগ প্রদান করে। প্রযুক্তির উপর আমাদের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার সাথে সাথে ব্যক্তি, ব্যবসা এবং সরকার তাদের ডেটা এবং সিস্টেমগুলিকে সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আরও বেশি করে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করছে।
সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ারের জন্য কিছু জনপ্রিয় পদবী:
- তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক: তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সংস্থাগুলিকে তাদের তথ্য সম্পদের ঝুঁকিগুলি চিহ্নিত করতে এবং মোকাবেলা করতে সহায়তা করে। তারা ঝুঁকি মূল্যায়ন, নীতি এবং প্রক্রিয়া তৈরি এবং নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণগুলি বাস্তবায়ন করে।
- পেনেট্রেশন টেস্টার: পেনেট্রেশন টেস্টাররা সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের দুর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য হ্যাকিং কৌশল ব্যবহার করে। তারা সংস্থাগুলিকে তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করে।
- সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর: সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কগুলি ইনস্টল, কনফিগার এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে। তারা নিরাপত্তা আপডেট ইনস্টল করে এবং সিস্টেমগুলি অপ্রয়োজনীয় অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে।
- সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ: সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সংস্থাগুলিকে সামগ্রিক সাইবার নিরাপত্তা প্রোগ্রাম তৈরি এবং বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করে। তারা ঝুঁকি মূল্যায়ন, নীতি এবং প্রক্রিয়া তৈরি, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ঘটনা প্রতিক্রিয়া পরিচালনা করে।
- ফরেনসিক বিশ্লেষক: ফরেনসিক বিশ্লেষকরা সাইবার অপরাধের তদন্ত করে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করে। তারা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এবং মামলা দায়ের করতে সহায়তা করে।
সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা:
সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য, আপনার সাধারণত কম্পিউটার বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি বা একটি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন হবে। কিছু চাকরির জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা পেশাদার সার্টিফিকেশন প্রয়োজন হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ারের সুবিধা:
- উচ্চ চাহিদা: সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের জন্য চাহিদা অনেক বেশি এবং আগামী বছরগুলিতেও তা বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
- ভাল বেতন: সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ভাল বেতন পান।