কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি? কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত

কম্পিউটার ভাইরাস কি?

কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা কোড যা কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করে নিজেকে অনুলিপি করে এবং কম্পিউটারের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং নিজেকে পুনরুৎপাদন করে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস

কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি?

এটি এক ধরনের পরজীবী যা কম্পিউটারের সিস্টেমকে আক্রমণ করে, ফাইল নষ্ট করে, ডেটা চুরি করে। ভাইরাসগুলো সাধারণত ফাইল, সফটওয়্যার, বা ডিভাইসের মধ্যে লুকিয়ে থেকে অন্যান্য কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কে ছড়ায় এবং সিস্টেমে ক্ষতি করে।

কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি? কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত
কম্পিউটার ভাইরাসের প্রকারভেদ অনেক এবং নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি হওয়ার সাথে সাথে তাদের ধরনও বদলাতে থাকে। তবে সাধারণভাবে কয়েকটি প্রধান প্রকারের ভাইরাসের কথা বলা যায়।

কম্পিউটার ভাইরাসের কিছু প্রধান প্রকার:

১. ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস (File Infector Virus): এই ভাইরাস সরাসরি প্রোগ্রাম ফাইলগুলো (যেমন, .exe, .com, .doc, .xls ফাইল) আক্রমণ করে। যখন সংক্রমিত ফাইলটি চালু করা হয়, তখন ভাইরাসটি সক্রিয় হয়ে যায় এবং অন্যান্য ফাইল বা সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে।

২. বুট সেক্টর ভাইরাস (Boot Sector Virus): এই ভাইরাস কম্পিউটারের বুট সেক্টরে আক্রমণ করে, যেখানে অপারেটিং সিস্টেম লোড হয়। কম্পিউটার চালু হলে প্রথমেই এই ভাইরাস কার্যকর হয়। এটি সিস্টেম চালু হওয়ার আগেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে, ফলে ডিভাইসটি ঠিকভাবে বুট হতে পারে না।

৩. ম্যাক্রো ভাইরাস (Macro Virus): ম্যাক্রো ভাইরাস সাধারণত মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেল ডকুমেন্টের ম্যাক্রোতে লুকিয়ে থাকে। যখন ডকুমেন্টটি খোলা হয়, তখন ভাইরাসটি সক্রিয় হয়ে যায় এবং একই ধরনের অন্যান্য ফাইলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মাইক্রোসফট অফিসের ম্যাক্রো ফাংশন ব্যবহার করে ছড়িয়ে পড়ে।

৪. পলিমরফিক ভাইরাস (Polymorphic Virus): এই ধরনের ভাইরাস নিজেকে প্রতিবার নতুনভাবে কপি করে, কোডের কিছু অংশ পরিবর্তন করে। ফলে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো সহজে এটি সনাক্ত করতে পারে না, কারণ এটি প্রতিবার নতুন রূপ ধারণ করে।

৫. রেসিডেন্ট ভাইরাস (Resident Virus): রেসিডেন্ট ভাইরাস কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে এবং সেখানে থেকে ক্রমাগত কাজ করে। এটি সিস্টেমের অন্যান্য প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি করে।

৬. ওয়ার্ম: নিজে থেকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

৭. ট্রোজান হর্স: নিরীহ সফটওয়্যারের মতো করে দেখতে হয়, কিন্তু ভিতরে ক্ষতিকর কোড থাকে।

৮. রুটকিট: অপারেটিং সিস্টেমে লুকিয়ে থাকে এবং সনাক্ত করা কঠিন হয়।

৯. স্পাইওয়্যার: ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ ট্র্যাক করে এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।

১০. অ্যাডওয়্যার: কম্পিউটারে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন দেখায়।

১১. র‍্যানসমওয়্যার(Ransomware): ব্যবহারকারীর ফাইলগুলো এনক্রিপ্ট করে এবং ফাইল ফিরে পেতে মুক্তির দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে ফাইলগুলো আর ব্যবহার করা যায় না। এটি একটি ধ্বংসাত্মক ভাইরাস।

১২. মাল্টিপার্টাইট ভাইরাস (Multipartite Virus): এই ভাইরাসটি একাধিক পদ্ধতিতে আক্রমণ করে, যেমন বুট সেক্টর এবং ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস উভয়ের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এটি একইসাথে বুট সেক্টর এবং ফাইল সিস্টেমে আক্রমণ করতে পারে।
   
১২. ওয়েব স্ক্রিপ্টিং ভাইরাস (Web Scripting Virus): ওয়েবসাইটের স্ক্রিপ্ট বা কোডে এই ভাইরাসটি লুকিয়ে থাকে। ব্যবহারকারীরা যখন একটি সংক্রামিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, তখন ভাইরাসটি ব্রাউজারের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে।

১৩. কোম্পানিয়ন ভাইরাস (Companion Virus): এই ভাইরাসটি কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের জন্য একটি নতুন ফাইল তৈরি করে যা সংক্রমিত হয়। মূল প্রোগ্রাম চালানোর সময় এই সংক্রামিত ফাইলটি চালু হয়, যা সিস্টেমের ক্ষতি করে।

১৪. ডাইরেক্ট অ্যাকশন ভাইরাস (Direct Action Virus): এই ভাইরাসটি সংক্রমিত ফাইল চালানোর সময় সক্রিয় হয় এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে। এটি অন্যান্য ফাইলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে, তবে সংক্রমিত ফাইলটি বন্ধ হলে এটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

১৫. মেটাফরফিক ভাইরাস: নিজের কোডকে এমনভাবে পরিবর্তন করে যে এটি অন্য কোন ভাইরাসের মতো দেখায়।

কম্পিউটার ভাইরাসের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এবং প্রতিটি আলাদা উপায়ে আক্রমণ করে। এদের প্রভাব রোধে ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা, সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করা এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ?

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এগুলি ভাইরাসের ধরন এবং কম্পিউটারের কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সিস্টেমের মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। এসব লক্ষণ ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক চিহ্ন হতে পারে এবং দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাস

কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি প্রধান লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:

১. কম্পিউটার ধীর হয়ে যাওয়া: ভাইরাস কম্পিউটারের রিসোর্স ব্যবহার করে ফলে কম্পিউটার ধীর হয়ে যায়। প্রোগ্রাম লোড হতে বেশি সময় নেয়, সিস্টেম হ্যাং হয়ে যায় ইত্যাদি। ভাইরাস প্রোগ্রাম গোপনে রিসোর্স (CPU, RAM) ব্যবহার করে, যার ফলে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কমে যায়।

২. অপ্রত্যাশিত পপ-আপ মেসেজ: কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের পপ-আপ বিজ্ঞাপন আসতে থাকে। এটি সাধারণত অ্যাডওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ।

৩. ফাইল এবং ফোল্ডার নষ্ট হওয়া বা অদৃশ্য হয়ে যাওয়া: ভাইরাস ফাইল এবং ফোল্ডারকে নষ্ট করে দিতে পারে বা তাদের লোকেশন পরিবর্তন করে দিতে পারে। ভাইরাস সংক্রমিত হলে ফাইলগুলো হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে, বা ফাইলগুলোর মধ্যে ক্ষতি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ফাইল নাম বা এক্সটেনশনও পরিবর্তিত হতে পারে।

৪. নতুন প্রোগ্রাম অটোমেটিক চালু হওয়া: কম্পিউটার চালু হওয়ার সাথে সাথে কিছু অজানা প্রোগ্রাম চালু হতে পারে।

৫. ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা: ভাইরাস ইন্টারনেট সংযোগে বাধা দিতে পারে।

৬. কম্পিউটার ক্র্যাশ হওয়া: ভাইরাস কম্পিউটারকে ক্র্যাশ করে দিতে পারে।

৭. অদ্ভুত শব্দ বা ইমেজ দেখা দেওয়া: কম্পিউটারে অদ্ভুত শব্দ বা ইমেজ দেখা দিতে পারে।

৮. ইমেইল এবং অন্যান্য অ্যাকাউন্টে অনুমতি ছাড়া লগ ইন হওয়ার চেষ্টা: ভাইরাস আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে অন্য কোথাও লগ ইন করার চেষ্টা করতে পারে।

৯. ইন্টারনেট ব্রাউজারের অস্বাভাবিক আচরণ: ব্রাউজার হোমপেজ বা ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, বা অপ্রয়োজনীয় ট্যাব ও লিঙ্ক খুলে যেতে পারে। এটি ব্রাউজার হাইজ্যাকিং ভাইরাসের লক্ষণ।

১০. অপ্রত্যাশিত পুনরায় চালু বা বন্ধ হওয়া: কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট বা শাটডাউন হতে পারে। এটি ভাইরাসের কারণে অপারেটিং সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার একটি লক্ষণ।

১১. অজানা প্রোগ্রাম চালু হওয়া: ভাইরাস সংক্রমণের ফলে কম্পিউটারে অজানা বা অপরিচিত প্রোগ্রাম বা প্রক্রিয়া চলতে শুরু করতে পারে। এগুলো প্রায়ই পটভূমিতে চলে এবং কম্পিউটারের ক্ষতি করে।

১২. অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া: কিছু ভাইরাস বিশেষভাবে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামকে নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর করার চেষ্টা করে। অ্যান্টিভাইরাস চালু না হলে বা আপডেট হতে না পারলে এটি ভাইরাস সংক্রমণের একটি ইঙ্গিত হতে পারে।
যদি আপনার কম্পিউটারে উপরের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১৩. সিস্টেমের সেটিংস পরিবর্তিত হওয়া: ভাইরাস সংক্রমণের ফলে কম্পিউটারের কিছু সেটিংস (যেমন, ফায়ারওয়াল, ব্রাউজার সেটিংস) অযাচিতভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

১৪. হঠাৎ করে ডিস্ক স্পেস কমে যাওয়া: ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় ফাইল তৈরি হয়, যা ডিস্ক স্পেস দখল করে। যদি ডিস্ক স্পেস অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় তবে এটি ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে।

১৫. ই-মেইল বা মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে অজানা লিঙ্ক পাঠানো: আপনার ই-মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অজানা লিঙ্ক বা মেসেজ অন্যদের কাছে পাঠানো হলে এটি ভাইরাস সংক্রমণের চিহ্ন হতে পারে। এটি সাধারণত ওয়ার্ম বা ট্রোজান ভাইরাসের কারণে ঘটে।

১৬. সিস্টেমের সেটিংস পরিবর্তিত হওয়া: ভাইরাস সংক্রমণের ফলে কম্পিউটারের কিছু সেটিংস (যেমন, ফায়ারওয়াল, ব্রাউজার সেটিংস) অযাচিতভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

উপরোক্ত লক্ষণগুলো ভাইরাস সংক্রমণের চিহ্ন হতে পারে। যদি আপনার কম্পিউটারে এসব লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

কম্পিউটার ভাইরাস কি কি ক্ষতি করে?

কম্পিউটার ভাইরাস সিস্টেমে প্রবেশ করার পর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এর মধ্যে কিছু ক্ষতি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, আবার কিছু ক্ষতি স্থায়ী বা মারাত্মক হতে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি? কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত

নিচে কম্পিউটার ভাইরাসের কয়েকটি প্রধান ক্ষতিকর প্রভাব দেওয়া হলো:

১. ডেটা মুছে ফেলা বা নষ্ট করা: ভাইরাস ফাইল এবং ডেটা মুছে ফেলতে বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ক্ষতি ঘটায়। অনেক সময় ভাইরাস আপনার সিস্টেমের তথ্যকে অপ্রাপ্য করে তুলতে পারে।

২. সিস্টেম ধীর করে দেওয়া: ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের রিসোর্স (CPU, RAM) ব্যবহার করে, ফলে কম্পিউটারের গতি ধীরে ধীরে কমে যায়। ভাইরাস চালু থাকলে সাধারণ কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

৩. অপারেটিং সিস্টেম বা সফটওয়্যার ক্ষতিগ্রস্ত করা: ভাইরাস সিস্টেম ফাইল বা অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করে না বা একেবারে চালু হওয়া বন্ধ করে দেয়।

৪. ব্যক্তিগত তথ্য চুরি: কিছু ভাইরাস বিশেষভাবে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করতে সক্ষম। এই ধরনের ভাইরাস ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠায়।

৫. অপ্রয়োজনীয় পপ-আপ বিজ্ঞাপন দেখানো: অনেক ভাইরাস ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে বিরক্তিকর পপ-আপ বিজ্ঞাপন দেখাতে শুরু করে। এসব বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীর কার্যক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায় এবং সিস্টেমের রিসোর্স নষ্ট করে।

৬. সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ: ভাইরাস অনেক সময় ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, যার ফলে ব্যবহারকারী তার সিস্টেম ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এটি হ্যাকারের মাধ্যমে সিস্টেম হাইজ্যাকিংয়ের একটি উপায় হতে পারে।

৭. অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয় করা: কিছু ভাইরাস অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম, যার ফলে ব্যবহারকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। এ ধরনের ভাইরাস সিস্টেমকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

৮. নেটওয়ার্কে ভাইরাস ছড়ানো: ভাইরাস একবার একটি কম্পিউটারে সংক্রমিত হলে, এটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পুরো নেটওয়ার্ক আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি কোনো নেটওয়ার্ক সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকে।

৯. অর্থনৈতিক ক্ষতি: র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস কম্পিউটারের ফাইলগুলো এনক্রিপ্ট করে ফেলে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। যদি মুক্তিপণ না দেওয়া হয়, তাহলে ফাইলগুলো আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। এর ফলে ব্যবহারকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

১০. সিস্টেমের অপ্রত্যাশিত পুনরায় চালু বা বন্ধ হওয়া: ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কম্পিউটার বারবার অপ্রত্যাশিতভাবে রিস্টার্ট হতে পারে বা হ্যাং হয়ে যেতে পারে। এতে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ব্যাহত হয় এবং ডেটা হারানোর ঝুঁকি থাকে।

১১. ব্রাউজার হাইজ্যাকিং: ভাইরাস আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং হোমপেজ, ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন বা নতুন ট্যাব পরিবর্তন করে দিতে পারে। এটি ব্যবহারকারীকে ক্ষতিকর বা ফিশিং সাইটে নিয়ে যেতে পারে, যা আরও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১২. অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়া: কিছু ভাইরাস আপনার কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই আক্রান্ত হতে পারে।

১৩. কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা হ্রাস: ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর, মেমোরি এবং হার্ড ডিস্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে দিতে পারে। ফলে আপনার কম্পিউটার ধীরে চলবে, প্রোগ্রামগুলো লেট করে লোড হবে এবং হ্যাং হয়ে যেতে পারে।

১৪. ফাইল এবং ফোল্ডার নষ্ট করা: ভাইরাস আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং ফোল্ডারগুলো মুছে ফেলতে, নষ্ট করে দিতে বা এনক্রিপ্ট করে লক করে দিতে পারে। ফলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে।

১৫. অনলাইন কার্যকলাপে বাধা দেওয়া: ভাইরাস আপনার ইন্টারনেট সংযোগে বাধা দিতে পারে, আপনার ওয়েব ব্রাউজিং ইতিহাস ট্র্যাক করতে পারে এবং এমনকি আপনার কম্পিউটারকে একটি জোম্বি কম্পিউটারে পরিণত করতে পারে।

১৬. কম্পিউটারকে অকেজো করে দেওয়া: কিছু ভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে এমনভাবে আক্রান্ত করে যে তা আর কাজ করবে না।

কম্পিউটার ভাইরাস সিস্টেমের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে, ডেটা ক্ষতি করতে পারে এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম

10টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম এবং তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

1. ILOVEYOU (2000):
  • ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়েছিল।
  • বিশ্বব্যাপী প্রায় 50 মিলিয়ন কম্পিউটার আক্রান্ত করেছিল।
2. Melissa (1999):
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টের মাধ্যমে ছড়িয়েছিল।
  • দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার জন্য পরিচিত।
3. MyDoom (2004):
  • ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে ছড়িয়েছিল।
  • ডিডোস আক্রমণ চালাতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
4. Conficker (2008):
  • উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা ব্যবহার করেছিল।
  • বোটনেট তৈরি করেছিল।
5. CryptoLocker (2013):
  • র‍্যানসমওয়্যার হিসেবে পরিচিত।
  • ফাইল এনক্রিপ্ট করে মুক্তিপণ দাবি করত।
6. Stuxnet (2010):
  • ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করেছিল।
  • অত্যন্ত জটিল ও উন্নত ভাইরাস।
7. Zeus (2007):
  • ব্যাংকিং তথ্য চুরি করত।
  • কীলগার হিসেবে কাজ করত।
8. Code Red (2001):
  • মাইক্রোসফট IIS ওয়েব সার্ভারকে আক্রমণ করেছিল।
  • ওয়েবসাইটগুলিকে বিকৃত করেছিল।
9. Slammer (2003):
  • অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
  • ইন্টারনেট ট্রাফিক ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
10. WannaCry (2017):
  • র‍্যানসমওয়্যার হিসেবে পরিচিত।
  • বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ কম্পিউটার আক্রান্ত করেছিল।
এই ভাইরাসগুলি তাদের প্রভাব, ব্যাপকতা, বা উদ্ভাবনী প্রকৃতির জন্য পরিচিত। প্রত্যেকটি ভাইরাস কম্পিউটার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং সাইবার সুরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদান রেখেছে।

১০টি বিখ্যাত কম্পিউটার ভাইরাস

কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাসে অনেক ধরনের ভাইরাস আবির্ভূত হয়েছে। এগুলির মধ্যে কিছু বিশেষভাবে ক্ষতিকারক এবং বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। আসুন এমন ১০টি ভাইরাসের নাম জেনে নেওয়া যাক:

1. আই লভ ইউ (I LOVE YOU): ২০০০ সালে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি একটি ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ত। ইমেইলের বিষয়বস্তুতে "I LOVE YOU" লেখা থাকত এবং এতে একটি অ্যাট্যাচমেন্ট থাকত। একবার যদি কেউ এই অ্যাট্যাচমেন্টটি ওপেন করত, তাহলে ভাইরাসটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে ফাইলগুলো নষ্ট করে দিত।

2. মাইক্রোসফট ওয়ার্ম: এই ভাইরাসটি ১৯৯৯ সালে আবির্ভূত হয় এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ত। এটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম ছিল।

3. কোড রেড ওয়ার্ম: এই ভাইরাসটি ২০০১ সালে আবির্ভূত হয় এবং ইউনিক্স ও লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে আক্রমণ করত। এটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত।

4. নিমদা ওয়ার্ম: এই ভাইরাসটি ২০০৪ সালে আবির্ভূত হয় এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে আক্রমণ করত। এটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত এবং কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা হ্রাস করত।

5. কোনফিকার: এই ভাইরাসটি ২০০৮ সালে আবির্ভূত হয় এবং মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে আক্রমণ করত। এটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করে দিত এবং অন্যান্য ভাইরাসের জন্য দরজা খুলে দিত।

6. জুাস: এই ভাইরাসটি একটি ব্যাংকিং ট্রোজান হিসেবে পরিচিত। এটি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

7. র‍্যানসমওয়্যার: র‍্যানসমওয়্যার হলো এক ধরনের ভাইরাস যা আপনার ফাইলগুলোকে এনক্রিপ্ট করে লক করে দেয়। ফাইলগুলো আবার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হয়।

8. রুটকিট: রুটকিট হলো এক ধরনের ভাইরাস যা নিজেকে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এটি অন্যান্য ভাইরাসের জন্য দরজা খুলে দেয় এবং আপনার কম্পিউটারের উপর নজরদারি রাখতে পারে।

9. স্পাইওয়্যার: স্পাইওয়্যার হলো এক ধরনের ভাইরাস যা আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।

10. অ্যাডওয়্যার: অ্যাডওয়্যার হলো এক ধরনের ভাইরাস যা আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দেখায়।

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে কোনটি প্রয়োজন?

কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া নিজে নিজে কপি হতে পারে বা নিজের প্রতিরূপ সৃষ্টি করতে পারে। এরা কম্পিউটারের ফাইল, প্রোগ্রাম বা এমনকি সমগ্র সিস্টেমকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি? কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো প্রয়োজন:

১. অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা: সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস স্ক্যান এবং ম্যালওয়্যার সনাক্ত করতে পারে।

২. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা: অপারেটিং সিস্টেম ও অন্যান্য সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপডেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপডেটের মাধ্যমে সিকিউরিটি প্যাচ এবং বাগ ফিক্স করা হয়, যা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

৩. ই-মেইল বা ফাইলের সংযুক্তি সাবধানে খোলা: সন্দেহজনক বা অপরিচিত ই-মেইল বা ফাইলের সংযুক্তি খোলা উচিত নয়। এগুলো ভাইরাস ছড়ানোর একটি সাধারণ মাধ্যম হতে পারে।

৪. ফায়ারওয়াল সক্রিয় রাখা: ফায়ারওয়াল কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অস্বাভাবিক বা অননুমোদিত নেটওয়ার্ক কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৫. অজানা ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড না করা: বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত। অজানা বা সন্দেহজনক ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা সফটওয়্যার ভাইরাসযুক্ত হতে পারে।

৬. পেন ড্রাইভ বা এক্সটার্নাল ড্রাইভ সাবধানে ব্যবহার করা: অন্যের পেন ড্রাইভ বা এক্সটার্নাল ড্রাইভ ব্যবহারের আগে স্ক্যান করা উচিত, কারণ এগুলো ভাইরাস ছড়ানোর একটি সাধারণ মাধ্যম হতে পারে।

৭. পপ-আপ বিজ্ঞাপন এড়িয়ে চলা: ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় সন্দেহজনক পপ-আপ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা উচিত নয়, কারণ এগুলোর মাধ্যমে ভাইরাস কম্পিউটারে ঢুকতে পারে।

৮. ব্রাউজারের সুরক্ষিত সেটিংস ব্যবহার করা: ব্রাউজারের সুরক্ষিত সেটিংস (যেমন, পপ-আপ ব্লকার বা ফিশিং সুরক্ষা) সক্রিয় করে রাখা উচিত, যাতে ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

৯. ডেটার ব্যাকআপ রাখা: নিয়মিত ডেটার ব্যাকআপ রাখা উচিত। ভাইরাস আক্রমণে যদি কোনো ডেটা নষ্ট হয়, তাহলে ব্যাকআপ থেকে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।

১০. স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা: শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং নিয়মিত তা পরিবর্তন করে সিস্টেমের সুরক্ষা বাড়ানো যায়, যা ভাইরাস আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক হতে পারে।

১১. USB ড্রাইভ এবং অন্যান্য এক্সটার্নাল ডিভাইস: USB ড্রাইভ এবং অন্যান্য এক্সটার্নাল ডিভাইস সাবধানতার সাথে ব্যবহার করুন। অজানা সূত্র থেকে আসা USB ড্রাইভ ব্যবহার করবেন না।

১২. পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় সাবধান থাকুন: পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

১৩. সামাজিক মিডিয়ায় সতর্ক থাকুন: সামাজিক মিডিয়ায় অজানা ব্যক্তির অনুরোধ গ্রহণ করবেন না এবং সন্দেহজনক লিঙ্ক শেয়ার করবেন না।

এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধ করা সহজ হয়।

কম্পিউটার ভাইরাসের জনক কে?

কম্পিউটার ভাইরাসের জনক হিসেবে প্রায়শই ফ্রেড কোহেন (Fred Cohen)-কে গণ্য করা হয়। তবে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে:

1. ফ্রেড কোহেন:
1983 সালে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার ভাইরাসের ধারণা প্রদান করেন।
তিনি কম্পিউটার ভাইরাসের প্রথম একাডেমিক গবেষণা করেন।
তাঁর পিএইচডি থিসিস ছিল কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কিত।

2. লেনার্ড আদলেম্যান (Leonard Adleman):
কোহেনের পিএইচডি সুপারভাইজার ছিলেন।
"ভাইরাস" শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন কম্পিউটার প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে।

3. রবার্ট থমাস মরিস (Robert Thomas Morris):
1971 সালে Creeper নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেন।
এটি প্রথম স্ব-প্রতিলিপি তৈরিকারী প্রোগ্রাম হিসেবে বিবেচিত হয়।
অনেকে এটিকে প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস বলে মনে করেন।

4. জন ফন নিউম্যান (John von Neumann):
1949 সালে স্ব-প্রতিলিপি তৈরিকারী প্রোগ্রামের ধারণা প্রদান করেন।
এটি পরবর্তীতে কম্পিউটার ভাইরাসের ধারণার ভিত্তি হয়ে ওঠে।

5. রিচ স্কাইনার (Rich Skrenta):
1982 সালে Elk Cloner নামে একটি ভাইরাস তৈরি করেন।
এটি প্রথম "wild" কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে পরিচিত।

6. বাসিত ফারুকি আলভি (Basit Farooq Alvi) ও আমজাদ ফারুক আলভি (Amjad Farooq Alvi):
1986 সালে Brain নামে প্রথম PC ভাইরাস তৈরি করেন।

যদিও ফ্রেড কোহেনকে প্রায়শই কম্পিউটার ভাইরাসের জনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়, কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস ও বিকাশে একাধিক ব্যক্তির অবদান রয়েছে। কোহেন এর থিওরেটিক্যাল ভিত্তি তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তার আগে থেকেই এই ধারণার উদ্ভব ও বিকাশ শুরু হয়েছিল।

কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করেন কে?

কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ:

"কম্পিউটার ভাইরাস" এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফ্রেড কোহেন (Fred Cohen)। তিনি ১৯৮৩ সালে তার গবেষণা পত্রে এই শব্দটি ব্যবহার করে এই ধরনের ম্যালওয়্যারের বর্ণনা দেন। তিনিই প্রথম এই ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।

কিন্তু, ভাইরাসের ধারণাটা আগেই ছিল:

ক্রিপার ভাইরাস: ফ্রেড কোহেনের আগে, ১৯৭১ সালে রবার্ট থমাস নামে একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী একটি ভাইরাস তৈরি করেন যার নাম ছিল "ক্রিপার"। এটি ছিল প্রথম স্ব-প্রতিলিপি সফটওয়্যার। যদিও তিনি এটি কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করেননি, তবে এটিই কম্পিউটার ভাইরাসের একটি প্রাথমিক উদাহরণ।

কম্পিউটার "ভাইরাস" নামটি: ফ্রেড কোহেন।
প্রথম ভাইরাস: ক্রিপার ভাইরাস, রবার্ট থমাস।

কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে কাজ করে?

কম্পিউটার ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম, যা নিজেকে পুনরায় কপি করে এবং বিভিন্ন সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি একটি হোস্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে সক্রিয় হয় এবং কম্পিউটারের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি? কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত

ভাইরাস কিভাবে কাজ করে তা কয়েকটি ধাপে বর্ণনা করা যায়:
১. সংক্রমণ (Infection): ভাইরাস সাধারণত সংক্রামিত ফাইল, সফটওয়্যার, বা ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এটি ই-মেইলের সংযুক্তি, সফটওয়্যার ডাউনলোড, পেন ড্রাইভ বা অন্যান্য মাধ্যমের সাহায্যে ছড়াতে পারে। একবার ভাইরাসটি কম্পিউটারে প্রবেশ করলে এটি সিস্টেমের বিভিন্ন অংশে, যেমন বুট সেক্টর, ফাইল সিস্টেম বা প্রোগ্রাম ফাইলগুলোতে লুকিয়ে থাকতে পারে।

২. সক্রিয় হওয়া (Activation): ভাইরাসটি সক্রিয় হয় যখন ব্যবহারকারী সংক্রমিত ফাইলটি চালু করে বা প্রোগ্রামটি খোলে। সক্রিয় হওয়ার পরে, এটি ক্ষতিকারক কার্যক্রম শুরু করে, যেমন ডেটা মুছে ফেলা, সিস্টেমের গতি কমানো, বা অপারেটিং সিস্টেমে ক্ষতি করা। কিছু ভাইরাস বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ হলেই সক্রিয় হয়, যেমন নির্দিষ্ট তারিখ বা ইভেন্ট।

৩. নিজেকে পুনরায় কপি করা (Replication): ভাইরাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি নিজেকে কপি করতে সক্ষম। এটি সংক্রমিত সিস্টেমে নতুন ফাইল বা প্রোগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ছড়াতে থাকে। ভাইরাস সাধারণত সিস্টেমের বিভিন্ন ফাইল বা প্রোগ্রামে লুকিয়ে থেকে ছড়াতে থাকে, যার ফলে এটি দ্রুত অন্যান্য ডিভাইস বা নেটওয়ার্কে ছড়াতে সক্ষম হয়।

৪. ক্ষতিকারক কাজ সম্পন্ন করা (Payload Execution): ভাইরাসের উদ্দেশ্য অনুযায়ী এটি বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকারক কাজ করতে পারে। এটি ফাইল মুছে ফেলা, ডেটা চুরি, সিস্টেম ধ্বংস করা, বা কম্পিউটার হাইজ্যাক করা হতে পারে। কিছু ভাইরাস সিস্টেমকে ধীরগতির করে ফেলে বা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। র্যানসমওয়্যার ভাইরাস ফাইল এনক্রিপ্ট করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।

৫. প্রতিরোধের প্রচেষ্টা (Avoidance Mechanism): অনেক ভাইরাস অ্যান্টিভাইরাস বা নিরাপত্তা সফটওয়্যারের সনাক্তকরণ এড়ানোর চেষ্টা করে। এদের কিছু ভাইরাস পলিমরফিক হয়, অর্থাৎ তারা নিজস্ব কোডের কিছু অংশ পরিবর্তন করে সনাক্ত হওয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করে।

৬. ছড়িয়ে পড়া (Spread): একবার সংক্রমিত হওয়ার পর, ভাইরাসটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বা অন্যান্য ফাইল বা প্রোগ্রামের সাহায্যে অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে। এটি সাধারণত দ্রুত ছড়াতে সক্ষম এবং অনেক সময় একটি পুরো নেটওয়ার্কে আঘাত করতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে, যা নিজেকে সংক্রামিত প্রোগ্রামে ছড়ায় এবং কম্পিউটারের কার্যক্রমে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই ধরণের ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহার এবং নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

কম্পিউটার ভাইরাস ও এন্টিভাইরাস এর তালিকা

বিখ্যাত কম্পিউটার ভাইরাস:

1. ILOVEYOU
2. Melissa
3. MyDoom
4. Conficker
5. CryptoLocker
6. Stuxnet
7. Zeus
8. Code Red
9. Slammer
10. WannaCry
11. Sasser
12. Blaster
13. Anna Kournikova
14. Nimda
15. Storm Worm

প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার:

1. Kaspersky
2. Norton
3. McAfee
4. Bitdefender
5. Avast
6. AVG
7. ESET NOD32
8. Malwarebytes
9. Trend Micro
10. Avira
11. Windows Defender (Microsoft)
12. F-Secure
13. Sophos
14. Panda
15. Webroot

কম্পিউটার ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

কম্পিউটার ভাইরাসের তালিকা:

1. ILOVEYOU Virus: ই-মেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ফাইল মুছে ফেলে।
2. WannaCry: র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস, ফাইল এনক্রিপ্ট করে মুক্তিপণ দাবি করে।
3. MyDoom: ই-মেইল এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
4. Sasser: উইন্ডোজ কম্পিউটারকে টার্গেট করে, নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়ায়।
5. Code Red: ওয়েব সার্ভারগুলিতে আক্রমণ করে।
6. Melissa: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
7. Conficker: উইন্ডোজ সিস্টেমে আক্রমণ করে এবং ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে।
8. Zeus: ব্যাংকিং তথ্য চুরি করার জন্য ব্যবহৃত ট্রোজান।
9. Storm Worm: ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
10. CryptoLocker: র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস, ফাইল এনক্রিপ্ট করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।

এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের তালিকা:

1. Norton Antivirus: ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার প্রতিরোধে কার্যকর। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
2. Kaspersky: শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা, ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, এবং র‍্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। রাশিয়ার একটি জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস।
3. McAfee: ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, এবং অন্যান্য সাইবার হুমকি প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের জন্য উপলব্ধ।
4. Avast: বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম দুই ধরনের সুরক্ষা, ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার প্রতিরোধ করে। ফ্রি এবং পেইড উভয় সংস্করণেই পাওয়া যায়।
5. Bitdefender: উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা, কম রিসোর্স ব্যবহার করে এবং দ্রুত ভাইরাস সনাক্ত করে। উচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে।
6. AVG: বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার, ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়।
7. Windows Defender: উইন্ডোজের বিল্ট-ইন এন্টিভাইরাস, ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার প্রতিরোধ করে।
8. Sophos: ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এন্টিভাইরাস সুরক্ষা।
9. ESET NOD32: দ্রুত সনাক্তকরণ এবং কম রিসোর্স ব্যবহারকারী এন্টিভাইরাস।
10.Trend Micro: ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, এবং র‍্যানসমওয়্যার থেকে উন্নত সুরক্ষা প্রদান করে।
11. Panda: কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকে ধীর করে না।

এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো ভাইরাসের কার্যক্রম সনাক্ত করে এবং মুছে ফেলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে, তাই একটি নির্ভরযোগ্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

কম্পিউটার ভাইরাস ও এন্টিভাইরাস এর তালিকা

বিখ্যাত কম্পিউটার ভাইরাস:

1. ILOVEYOU
2. Melissa
3. MyDoom
4. Conficker
5. CryptoLocker
6. Stuxnet
7. Zeus
8. Code Red
9. Slammer
10. WannaCry
11. Sasser
12. Blaster
13. Anna Kournikova
14. Nimda
15. Storm Worm

প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার:

1. Kaspersky
2. Norton
3. McAfee
4. Bitdefender
5. Avast
6. AVG
7. ESET NOD32
8. Malwarebytes
9. Trend Micro
10. Avira
11. Windows Defender (Microsoft)
12. F-Secure
13. Sophos
14. Panda
15. Webroot

কম্পিউটার ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

কম্পিউটার ভাইরাসের তালিকা:

1. ILOVEYOU Virus: ই-মেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ফাইল মুছে ফেলে।
2. WannaCry: র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস, ফাইল এনক্রিপ্ট করে মুক্তিপণ দাবি করে।
3. MyDoom: ই-মেইল এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
4. Sasser: উইন্ডোজ কম্পিউটারকে টার্গেট করে, নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়ায়।
5. Code Red: ওয়েব সার্ভারগুলিতে আক্রমণ করে।
6. Melissa: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
7. Conficker: উইন্ডোজ সিস্টেমে আক্রমণ করে এবং ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে।
8. Zeus: ব্যাংকিং তথ্য চুরি করার জন্য ব্যবহৃত ট্রোজান।
9. Storm Worm: ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
10. CryptoLocker: র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস, ফাইল এনক্রিপ্ট করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।

এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের তালিকা:

1. Norton Antivirus: ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার প্রতিরোধে কার্যকর। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
2. Kaspersky: শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা, ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, এবং র‍্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। রাশিয়ার একটি জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস।
3. McAfee: ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, এবং অন্যান্য সাইবার হুমকি প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের জন্য উপলব্ধ।
4. Avast: বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম দুই ধরনের সুরক্ষা, ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার প্রতিরোধ করে। ফ্রি এবং পেইড উভয় সংস্করণেই পাওয়া যায়।
5. Bitdefender: উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা, কম রিসোর্স ব্যবহার করে এবং দ্রুত ভাইরাস সনাক্ত করে। উচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে।
6. AVG: বিনামূল্যে এবং প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার, ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়।
7. Windows Defender: উইন্ডোজের বিল্ট-ইন এন্টিভাইরাস, ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার প্রতিরোধ করে।
8. Sophos: ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এন্টিভাইরাস সুরক্ষা।
9. ESET NOD32: দ্রুত সনাক্তকরণ এবং কম রিসোর্স ব্যবহারকারী এন্টিভাইরাস।
10.Trend Micro: ম্যালওয়্যার, ভাইরাস, এবং র‍্যানসমওয়্যার থেকে উন্নত সুরক্ষা প্রদান করে।
11. Panda: কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকে ধীর করে না।

এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো ভাইরাসের কার্যক্রম সনাক্ত করে এবং মুছে ফেলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে, তাই একটি নির্ভরযোগ্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

এন্টিভাইরাস কী?

এন্টিভাইরাস হলো একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার ভাইরাসকে শনাক্ত করে, রোধ করে এবং সরিয়ে দেয়। 
কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কি? কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত

এটি কম্পিউটারের সিস্টেমকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

এন্টিভাইরাসের কাজ:

১. ভাইরাস শনাক্ত করা।
২. ভাইরাস রোধ করা।
৩. ভাইরাস সরিয়ে দেওয়া।
৪. সিস্টেম স্ক্যান করা।
৫. রিয়েল-টাইম সুরক্ষা প্রদান করা।

কোন এন্টিভাইরাসটি ভালো?

কোন এন্টিভাইরাসটি আপনার জন্য ভালো হবে তা আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। আপনার কম্পিউটারে কী ধরনের ফাইল থাকে, কতটা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, এবং আপনার বাজেট কত তা বিবেচনা করে এন্টিভাইরাস নির্বাচন করতে হবে।

এন্টিভাইরাস নির্বাচন:

এন্টিভাইরাস নির্বাচনের সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:

বৈশিষ্ট্য: ভাইরাস শনাক্ত, রোধ, সরিয়ে দেওয়া, রিয়েল-টাইম সুরক্ষা ইত্যাদি।
পারফরম্যান্স: কম্পিউটারের গতি কমায় কিনা।
ব্যবহারকারী-বান্ধব: ব্যবহার করা সহজ কিনা।
মূল্য: আপনার বাজেটের মধ্যে কিনা।

কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়

১. ভালো একটি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
২. এন্টিভাইরাসকে নিয়মিত আপডেট করুন।
৩. অজানা ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন না।
৪. ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট খুলার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।
৫. পাসওয়ার্ড শক্তিশালী রাখুন।
৬. অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপডেট করুন।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url