রয়েল এনফিল্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
রয়েল এনফিল্ড
রয়েল এনফিল্ড শুধু একটি মোটরসাইকেল নয়, এটি একটি ঐতিহ্য, একটি জীবনধারা। ব্রিটিশ শাসনকাল থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত এই মোটরসাইকেলটি ভারতীয়দের মনে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
এখন থেকে বাংলাদেশেও চারটি মোডেল পাওয়া যাচ্ছে, আশা করি বাংলাদেশিদের মনেও জাইগা করে নেবে।
রয়েল এনফিল্ডের ইতিহাস
রয়েল এনফিল্ডের যাত্রা শুরু হয় ১৯০১ সালে। ব্রিটেনে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি শুরুতে বন্দুক এবং ঘড়ি তৈরি করত। পরবর্তীতে তারা মোটরসাইকেল তৈরিতে মনোনিবেশ করে।
ভারতে রয়েল এনফিল্ডের আগমন ঘটে ১৯৫৫ সালে। মাদ্রাজ মোটরসের সাথে যৌথ উদ্যোগে ভারতে এই মোটরসাইকেলের উৎপাদন শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ গাড়িতে কোন ধরণের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা বেশি কার্যকরী?
রয়েল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তা
- ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন: রয়েল এনফিল্ডের ক্লাসিক ডিজাইন এটিকে অন্য মোটরসাইকেল থেকে আলাদা করে।
- শক্তিশালী ইঞ্জিন: রয়েল এনফিল্ডের ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচে চলে।
- আরামদায়ক চালনা: লম্বা পথ চলাচলের জন্য রয়েল এনফিল্ড খুবই আরামদায়ক।
- কমিউনিটি: রয়েল এনফিল্ডের এক বিশাল রাইডার কমিউনিটি রয়েছে, যারা একসঙ্গে ট্যুরে যায় এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচয় করে।
রয়েল এনফিল্ডের জনপ্রিয় মডেল
- ক্লাসিক 350: রয়েল এনফিল্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল।
- বুলেট 350: একটি আইকনিক মডেল যা অনেকের কাছেই প্রিয়।
- হিমালয়ন: অফ-রোডিং এবং অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আদর্শ একটি মডেল।
- মেটেওর 350: একটি ক্রুজার মোটরসাইকেল যা আরামদায়ক চালনার জন্য ডিজাইন করা।
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত?
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম ৩ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বর্তমান।
রয়েল এনফিল্ড কেন কিনবেন?
- একটি ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেল: যদি আপনি একটি ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেল চান, তাহলে রয়েল এনফিল্ড আপনার জন্য সঠিক পছন্দ।
- আরামদায়ক চালনা: দীর্ঘ পথ চলাচলের জন্য রয়েল এনফিল্ড একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
- কমিউনিটি: রয়েল এনফিল্ডের একটি বিশাল রাইডার কমিউনিটি রয়েছে, যার সাথে যোগ দিয়ে আপনি নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হতে পারবেন।
- ব্র্যান্ড ভ্যালু: রয়েল এনফিল্ড একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড এবং এটি আপনাকে একটি স্টাইলিশ এবং আধুনিক লুক দেবে।
আরও পড়ুনঃ গাড়ির রেডিয়েটর ভালো রাখার উপায়
রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০
রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ একটি আইকনিক মোটরসাইকেল যা ক্লাসিক লুক, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের জন্য জনপ্রিয়।
এই বাইকটি এর ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন এবং আরামদায়ক রাইডের জন্য দীর্ঘ রাইডিং এবং হাইওয়ে জার্নির জন্য উপযুক্ত।
রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর বৈশিষ্ট্য:
1. ইঞ্জিন: ক্লাসিক ৩৫০ এ রয়েছে ৩৪৯ সিসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিন, যা ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এটি একটি নতুন J-সিরিজ ইঞ্জিন, যা মসৃণ ও কম্পনমুক্ত রাইড নিশ্চিত করে।
2. ডিজাইন: বাইকটি এর রেট্রো এবং ক্লাসিক ডিজাইন ধরে রেখেছে। স্টাইলিশ ফুয়েল ট্যাঙ্ক, হ্যান্ডক্রাফটেড মেটাল বডি, এবং ক্রোম হাইলাইটেড অংশগুলি বাইকটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
3. সাসপেনশন এবং ব্রেকিং: ক্লাসিক ৩৫০ এ সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং পিছনের দিকে ডুয়াল শক অ্যাবজর্বার রয়েছে। এতে ফ্রন্ট এবং রিয়ার ডিস্ক ব্রেকের সাথে ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস যুক্ত করা হয়েছে।
4. ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং মাইলেজ: এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা প্রায় ১৩ লিটার এবং এটি গড়ে প্রায় ৩৫-৩৮ কিমি/লিটার মাইলেজ প্রদান করতে পারে।
5. আরামদায়ক সিটিং: বাইকটির সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের অবস্থান দীর্ঘ রাইডের জন্য আরামদায়ক।
6. ট্রিপার নেভিগেশন: কিছু মডেলে রয়েল এনফিল্ডের ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম আছে, যা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন প্রদান করে।
রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর জনপ্রিয়তা ও রাইডিং অভিজ্ঞতা:
রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ একটি আদর্শ রেট্রো মোটরসাইকেল, যা চমৎকার পারফরম্যান্স ও কমফোর্ট নিশ্চিত করে। শহর এবং হাইওয়ে রাইডিং উভয়ের জন্যই এটি ভালো পারফর্ম করে।
রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর দাম:
ভারতে ক্লাসিক ৩৫০-এর দাম প্রায় ১.৯ লাখ রুপি থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ড আমদানি হলে শুল্ক ও ট্যাক্সের উপর নির্ভর করে এটির দাম বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিন শীতলীকরণ পদ্ধতি বা ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০
রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী মোটরসাইকেল মডেল, যা প্রাথমিকভাবে এর ক্লাসিক ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত।
এটি রয়েল এনফিল্ডের সবচেয়ে পুরনো এবং প্রতীকী মডেলগুলির একটি, যা অনেক রাইডারদের কাছে একপ্রকার নস্টালজিয়ার সৃষ্টি করে।
রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ এর বৈশিষ্ট্য
1. ইঞ্জিন: বুলেট ৩৫০ এ ৩৪৯ সিসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিন রয়েছে, যা ১৯.১ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এটি ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তির সাথে আসে, যা মসৃণ এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স দেয়।
2. ডিজাইন: বাইকটির ডিজাইন মূলত পুরনো দিনের স্টাইল ধরে রেখেছে, যা ক্লাসিক এবং রেট্রো লুকের সমাহার। এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের আকৃতি, ক্রোম হাইলাইটেড অংশ এবং বড় হেডলাইট বুলেট ৩৫০ কে বিশেষ করে তোলে।
3. ব্রেকিং সিস্টেম: এতে ফ্রন্টে ডিস্ক ব্রেক এবং রিয়ারে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। বাইকটি ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সহ আসে, যা রাইডের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
4. ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং মাইলেজ: এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা প্রায় ১৩.৫ লিটার এবং এটি প্রায় ৩৫-৪০ কিমি/লিটার মাইলেজ প্রদান করতে পারে।
5. আরামদায়ক সিটিং: এর সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের অবস্থান দীর্ঘ রাইডের জন্য আরামদায়ক।
6. স্টার্টিং সিস্টেম: এতে ইলেকট্রিক স্টার্ট এবং কিক স্টার্টের সুবিধা রয়েছে।
রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ এর জনপ্রিয়তা:
রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ বিশ্বজুড়ে বাইকপ্রেমীদের কাছে একটি আইকনিক মোটরসাইকেল। এর ক্লাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন, নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এবং মসৃণ রাইডের অভিজ্ঞতা এটিকে রাইডারদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ এর দাম
ভারতে রয়েল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ এর মূল্য প্রায় ১.৫ লাখ রুপি থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশে এটির দাম আমদানি শুল্ক এবং করের উপর নির্ভর করে বাড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ গাড়িতে কোন ধরণের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা বেশি কার্যকরী?
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান একটি অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল, যা কঠিন রাস্তা, পাহাড়ি এলাকা এবং দীর্ঘ দূরত্বের রাইডের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
এই বাইকটি অ্যাডভেঞ্চার রাইডার এবং ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কারণ এটি রাস্তা ও অফ-রোড উভয়ের জন্যই উপযুক্ত।
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান এর বৈশিষ্ট্য:
1. ইঞ্জিন: হিমালয়ানে একটি ৪১১ সিসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার ও অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন রয়েছে, যা ২৪.৩ বিএইচপি শক্তি এবং ৩২ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এর কম আরপিএম এ উচ্চ টর্ক দেওয়ার ক্ষমতা অফ-রোড এবং ট্রেইল রাইডিংয়ের জন্য কার্যকর।
2. ডিজাইন ও বিল্ড: এই বাইকটির ডিজাইন এবং বিল্ড অত্যন্ত মজবুত। এর উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, দীর্ঘ সাসপেনশন এবং শক্তিশালী ফ্রেম অফ-রোড রাইডের জন্য উপযোগী। এর ডিজাইন রোড ও অফ-রোড উভয়ের ক্ষেত্রেই স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে।
3. চাকা এবং ব্রেকিং সিস্টেম: হিমালয়ানে সামনে ২১-ইঞ্চি এবং পিছনে ১৭-ইঞ্চি চাকা রয়েছে, যা অফ-রোড রাইডিংয়ের জন্য আদর্শ। এতে ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সহ ডিস্ক ব্রেক রয়েছে, যা নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়।
4. ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং মাইলেজ: এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা প্রায় ১৫ লিটার, যা দীর্ঘ দূরত্বের জন্য বেশ উপযোগী। সাধারণত এই বাইকটি প্রায় ৩০-৩৫ কিমি/লিটার মাইলেজ প্রদান করে।
5. ট্রিপার নেভিগেশন: হিমালয়ানের কিছু মডেলে ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম সংযুক্ত রয়েছে, যা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন প্রদান করে, বিশেষ করে অফ-রোড রাইডের জন্য কার্যকর।
6. আরামদায়ক রাইডিং পজিশন: হিমালয়ানের সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের উচ্চতা দীর্ঘ রাইডের জন্য আরামদায়ক। এর চওড়া সিট এবং মজবুত পা রাখার জায়গা এটিকে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে।
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান এর জনপ্রিয়তা:
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান অফ-রোড অ্যাডভেঞ্চার বাইকের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেলগুলোর একটি। যাদের পাহাড়ি অঞ্চল এবং চ্যালেঞ্জিং রাস্তা পছন্দ, তাদের জন্য এটি আদর্শ বাইক।
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান এর মূল্য:
ভারতে রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান এর দাম প্রায় ২ লাখ রুপি থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশে এটির মূল্য আমদানি কর এবং অন্যান্য ট্যাক্সের উপর নির্ভর করে কিছুটা বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ যে লক্ষণে বুঝবেন গাড়ির ইঞ্জিন ভালো নেই
রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০
রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০ একটি ক্রুজার মোটরসাইকেল, যা দীর্ঘ দূরত্বের রাইড এবং আরামদায়ক যাত্রার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
এটি স্টাইলিশ ডিজাইন, মসৃণ ইঞ্জিন পারফরম্যান্স, এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্যের জন্য ক্রুজার বাইকপ্রেমীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০ এর বৈশিষ্ট্য:
1. ইঞ্জিন: মেটেওর ৩৫০ এ ৩৪৯ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিন রয়েছে, যা ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। ইঞ্জিনটি ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তিতে চলে, যা রাইডিং অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করে।
2. ডিজাইন: মেটেওর ৩৫০ এর স্টাইলিং আধুনিক এবং ক্লাসিক ক্রুজার লুকের মিশ্রণ। এর আরামদায়ক সিটিং পজিশন, লং হ্যান্ডেলবার এবং চওড়া সিট দীর্ঘ যাত্রার জন্য আরামদায়ক।
3. ট্রিপার নেভিগেশন: বাইকটিতে রয়েল এনফিল্ডের নিজস্ব "ট্রিপার নেভিগেশন" সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে, যা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে রাইডারকে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন প্রদান করে। এটি বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণকারী রাইডারদের জন্য সহায়ক।
4. ব্রেকিং এবং সাসপেনশন: মেটেওর ৩৫০ এ ফ্রন্টে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং রিয়ারে ডুয়াল শক অ্যাবজর্বার আছে। এটি ফ্রন্টে ডিস্ক এবং রিয়ার ডিস্ক ব্রেকের সাথে ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস যুক্ত, যা রাইডের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
5. ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং মাইলেজ: বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক ধারণক্ষমতা প্রায় ১৫ লিটার, এবং এটি সাধারণত ৩৫-৪০ কিমি/লিটার মাইলেজ প্রদান করতে পারে।
6. লং রাইডিং অভিজ্ঞতা: এর আরামদায়ক সিট এবং দীর্ঘ যাত্রার জন্য উপযোগী সাসপেনশন মেটেওর ৩৫০ কে একটি আদর্শ ক্রুজার বাইক করে তুলেছে।
রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০ এর জনপ্রিয়তা ও রাইডিং অভিজ্ঞতা:
রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০ দীর্ঘ যাত্রার জন্য উপযুক্ত, বিশেষত যারা রোড ট্রিপ এবং লং রাইড পছন্দ করেন তাদের জন্য। এর ডিজাইন এবং মসৃণ পারফরম্যান্স বাইকটিকে দারুণ জনপ্রিয় করেছে।
রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০ এর দাম:
ভারতে রয়েল এনফিল্ড মেটেওর ৩৫০ এর দাম প্রায় ১.৮ লাখ রুপি থেকে শুরু হয়। বাংলাদেশে এটির দাম কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে সঠিক মূল্য নির্ভর করবে আমদানি শুল্ক ও করের উপর।
আরও পড়ুনঃ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন