পূরক কোণ কাকে বলে? পূরক কোণের বৈশিষ্ট্যসমূহ
পূরক কোণ কাকে বলে?
পূরক কোণ হল এমন দুটি কোণ যাদের যোগফল ৯০ ডিগ্রি বা এক সমকোণ হয়। সহজ কথায় যদি দুটি কোণকে একসাথে রাখলে তারা মিলে একটা সমকোণ তৈরি করে, তাহলে সেই দুটি কোণকে পূরক কোণ বলে।
পূরক কোণ বলতে এমন দুটি কোণকে বোঝায় যাদের সমষ্টি 90° হয়। অর্থাৎ, দুটি কোণের মান যোগ করলে 90 ডিগ্রি হবে।
উদাহরণ:
- 30° এবং 60° কোণ দুটি পূরক কোণ কারণ 30° + 60° = 90°
- 45° এবং 45° কোণ দুটি পূরক কোণ কারণ 45° + 45° = 90°
- 20° এবং 70° কোণ দুটি পূরক কোণ কারণ 20° + 70° = 90°
সূত্র আকারে: যদি দুটি কোণ A এবং B পূরক কোণ হয়, তাহলে A + B = 90°
পূরক কোণ কত ডিগ্রী?
একক কোনো কোণকে পূরক কোণ বলা যায় না। পূরক কোণ হল দুটি কোণের সম্পর্ক। যেমন আমরা আগে বলেছি,পূরক কোণ হল এমন দুটি কোণ যাদের যোগফল ৯০ ডিগ্রি বা এক সমকোণ হয়।
উদাহরণ:
- ৩০ ডিগ্রি এবং ৬০ ডিগ্রি কোণ দুটি পূরক কোণ, কারণ ৩০ + ৬০ = ৯০।
- ৪৫ ডিগ্রি এবং ৪৫ ডিগ্রি কোণও দুটি পূরক কোণ।
তাই, কোনো একক কোণের জন্য পূরক কোণের মান নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। যদি আপনার কাছে একটি কোণের মান দেওয়া থাকে, তাহলে তার পূরক কোণ বের করার জন্য আপনাকে ৯০ থেকে সেই কোণের মান বিয়োগ করতে হবে।
উদাহরণ: যদি একটি কোণের মান ৩৫ ডিগ্রি হয়, তাহলে তার পূরক কোণ হবে ৯০ - ৩৫ = ৫৫ ডিগ্রি।
আরও পড়ুনঃ সম্পূরক কোণ কাকে বলে? সম্পূরক কোণের বৈশিষ্ট্য ও বিস্তারিত আলোচনা
পূরক কোণের বৈশিষ্ট্য
পূরক কোণের বৈশিষ্ট্যগুলো হল:
- যোগফল ৯০ ডিগ্রি: দুটি পূরক কোণকে যোগ করলে তাদের যোগফল সবসময় ৯০ ডিগ্রি বা এক সমকোণ হবে।
- ছোট কোণ: যেহেতু দুটি কোণের যোগফল ৯০ ডিগ্রি, তাই প্রতিটি কোণের মান অবশ্যই ৯০ ডিগ্রি থেকে কম হবে।
- সমকোণের অংশ: দুটি পূরক কোণ মিলে একটা সমকোণ গঠন করে।
- একটি কোণ জানা থাকলে অন্যটি বের করা যায়: যদি একটি পূরক কোণের মান জানা থাকে, তাহলে ৯০ থেকে সেই মান বিয়োগ করে অন্য পূরক কোণের মান বের করা যাবে।
উদাহরণ:
- ৩০ ডিগ্রি এবং ৬০ ডিগ্রি দুটি পূরক কোণ।
- যদি একটি কোণ ৪৫ ডিগ্রি হয়, তাহলে তার পূরক কোণ হবে ৯০ - ৪৫ = ৪৫ ডিগ্রি।
দুটি পূরক কোণের সমষ্টি কত?
- ৩০ ডিগ্রি এবং ৬০ ডিগ্রি কোণ দুটি পূরক কোণ, কারণ ৩০ + ৬০ = ৯০।
- ৪৫ ডিগ্রি এবং ৪৫ ডিগ্রি কোণও দুটি পূরক কোণ।